নিবন্ধন কেন্দ্রে আসছে না রোহিঙ্গারা
---
পরিচয়পত্রে জাতীয়তা ও দেশের নাম নিয়ে আপত্তি তুলে কক্সবাজারের নিবন্ধন কেন্দ্রে আসছে না রোহিঙ্গারা। নিবন্ধন কার্যক্রমের প্রধান মেজর কাজী উবায়দুর রেজা বলেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জাতীয়তার ঘরে লেখা হচ্ছে, তারা মিয়ানমারের নাগরিক।
“গত ১১ সেপ্টেম্বর নিবন্ধর শুরুর সময় পরিচয়পত্রে ‘মিয়ানমার’ ও ‘রোহিঙ্গা’ লেখা হচ্ছিল। পরে লেখা হয় ‘মিয়ানমার’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ দুটি। সর্বশেষ সোমবার থেকে লেখা হচ্ছে শুধু ‘মিয়ানমার’।”
কিন্তু রোহিঙ্গাদের অনেকে দাবি তুলেছে, পরিচয়পত্রে তাদের ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা’ হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। এ কারণে তারা নিবন্ধন কেন্দ্রে আসছেন না।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে গিয়ে নিবন্ধন কাজে থাকা অপারেটরদের বসে থাকতে দেখা যায়।
মেজর উবায়দুর বলেন, বুধবার সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত শখানেক রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হতে এসেছেন, যেখানে মঙ্গলবার হয়েছেন ১৬ শতাধিক।
“রোববার পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৬৪ জন, সোমবার ২৯৫১ জন এবং মঙ্গলবার ১৬ শতাধিক রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছেন।”
বর্তমানে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে ১২টি ও নয়াপাড়ায় ১৮টি বুথের মাধ্যমে এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে বলে জানান তিনি।
প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের ‘এ-ফোর’ আকারের একটি কাগজে পরিচয়পত্র দেওয়া হলেও সোমবার থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের আকারের একটি আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে গত এক মাসে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে আসা চার লাখের বেশি রোহিঙ্গাও কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে।