খালেদা জিয়ার ফেরা বহুদূর!
---
নিউজ ডেস্ক : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় নেতাকর্মীরা। তারা আশা করেছিলেন খুব শিগগিরই খালেদা জিয়া দেশে ফিরে সহায়ক সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করবেন এবং সহায়ক সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলনের ডাক দেবেন। কিছুদিন আগেও এসব নেতাকর্মী জেনেছিলেন তাদের নেত্রী চলতি মাসের শেষে অথবা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন।
কিন্তু তাদের সেই আশায় গুড়েবালি। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে সহসা দেশে ফিরবেন না খালেদা জিয়া। এর কারণ হিসেবে সূত্রটি বলছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপে ফেলে সহায়ক সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য লন্ডনে বসে খালেদা জিয়া যে কূটনৈতিক মিশন শুরু করেছেন তা এখনও শেষ হয়নি। এটি কবে শেষ হবে তাও অনিশ্চিত। আর বিদেশি শক্তিগুলোর কাছ থেকে এ বিষযে পূর্ণ সমর্থন আদায় না করে দেশে ফিরতে চান না তিনি। তার সঙ্গে একই মত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদাপুত্র তারেক রহমানেরও। খালেদা জিয়া এখন তারেক রহমানের বাসায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। যদিও বিএনপির নেতারা মনে করেন দেশের না ফেরার কারণ চিকিৎসা শেষ না হওয়া।
কিন্তু সূত্র বলছে খালেদা জিয়ার দেশে না ফেরার মূল কারণ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো কিংবা চিকিৎসা নয়। সেখানে অবস্থানের আসল কারণ ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো। বিদেশি শক্তি ধরে যেভাবেই হোক আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে চান তিনি। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ইউরোপিয়ান দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন সমর্থন আদায় করতে পারেননি। তাই চিকিৎসার কথা বলে দেশে ফেরা বিলম্বিত করছেন। এতদিন বিএনপি নেতারা বলেছেন খালেদা জিয়ার চোখের চিকিৎসা শেষ না হওয়ায় দেশে ফিরতে দেরি হচ্ছে। এখন বলছেন তার হাঁটুর চিকিৎসা বাকি আছে।
এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, চিকিৎসার জন্যই দেশে ফিরতে খালেদা জিয়ার দেরি হচ্ছে, অন্যকিছু নয়। চিকিৎসা শেষ হলেই তিনি দেশে ফিরবেন। খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন না- আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন ধারণা একেবারেই ঠিক নয় বলে মনে করেন তিনি। জাহিদ বলেন বিএনপির চেয়ারপারসন শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলে তিনি আশা করছেন। বন্যার্ত ও রোহিঙ্গাদের পাশে সশরীরে হাজির হওয়ার জন্য তিনি ব্যাকুল। তাই খালেদা জিয়া দেশে ফেরার জন্য খুবই উদগ্রীব। কিন্তু চিকিৎসা শেষ না হলে কেমন করে দেশে আসবেন। তবে তার নির্দেশে বন্যার্ত এবং রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি।
বিএনপির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে খালেদা জিয়া দেশে ফেরার পরই বিশাল শোডাউন করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ব্যাপক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে নীরবে নীরবে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তার দুইপাড়ে সারিবদ্ধ হয়ে ফুল দিয়ে খালেদা জিয়াকে বরণ করে নেওয়া হবে। সূত্র: আমার সংবাদ