যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের প্রতিমাসে ৫০ হাজার ডলার দিচ্ছে কাতার
---
আরব দেশগুলোর মধ্যে কাতার একমাত্র দেশ যেখানে ইসরায়েলের নাগরিকরা অবাধে ভ্রমণ করতে পারেন। দান খয়রাতে কাতারের সুনাম রয়েছে। প্রখ্যাত এক ইহুদি রিপাবলিকান নেতার মাধ্যমে কাতার প্রতিমাসে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি সম্প্রদায়কে ৫০ হাজার ডলার দান করছে। যখন সৌদি জোটের নেতৃত্বে কয়েকটি আরব দেশ কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ দিয়ে বসে আছে, ইরানের সঙ্গে সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগ আনছে তখন ইহুদিদের জন্যে কাতারের এমন দানের কথা শুনে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করতে পারেন। এ বিস্ময়ের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে কাতার যখন একদিকে ইরান, অন্যদিকে মিসরে ব্রাদারহুড ও যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে পারে।
এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের জন্যে এধরনের দান প্রসঙ্গে ইহুদি পর্যবেক্ষক নিকোলাস মুজিন বলেন, কাতারের সঙ্গে এধরনের সম্পর্ক বজায় রাখা যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্যে চমৎকার এক ব্যাপার। আমরা চাই না প্রতিবেশি দেশগুলো কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করুক ও ইরান তার প্রভাব বিস্তার আরো বৃদ্ধি করুক।
নিকোলাস মুজিন নিজেও যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রিপাবলিকানদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তিনি সিনিয়র সিনেটর টিম স্কট, টেড ক্রুইজ, রিপাবলিক কসাসের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন।
সম্প্রতি কাতারের বিরুদ্ধে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের অভিযোগ তোলে সৌদি জোট। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বিষয়টি নিয়ে কিছুটা দ্বিমত প্রকাশ করেন।
এদিকে শীর্ষ এক লবিং ফার্ম ব্লুলাইট স্ট্রাটেজিস যা ইহুদি প্রভাবিত এবং এ ফার্মেও এক কর্মকর্তা স্টিভ রবিনওইৎস বলেছেন, কাতারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্যে ও দেশটিতে এক সম্মেলনের আয়োজনে পুরো ব্যয় নির্বাহ করেছেন দেশটির বিখ্যাত বিরোধীদলের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী খালিদ আল-হাইল। গত কয়েক দশক ধরে কাতার অন্যান্য আরব দেশের চেয়ে স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়ে চলছে। এজন্যে দেশটির ওপর আমিরাত ও সৌদি আরবের চাপও বাড়ছে। ভার্চুয়াল জেরুজালেম