কীভাবে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করবেন?
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : আমরা নামাজ পড়ার জন্য নিয়ত আরবি ভাষায় করার চেষ্টা করি। এ চেষ্টা উত্তম হলেও কোনো নামাজের নিয়তই আরবিতে করা জরুরি নয়। যে কোনো ভাষায় নামাজের নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট।
ঈদের দিন ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে মনে মনে নিয়ত এভাবে করলেই চলবে- ‘আমি অতিরিক্ত ছয় তাকবিরসহ এই ইমামের পেছনে ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করছি।’
এরপর উভয় হাত কান বরাবর উঠিয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধবেন। হাত বাঁধার পর ছানা অর্থাৎ ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা…’ শেষ পর্যন্ত পড়বেন। এরপর আল্লাহু আকবার বলে হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিবেন। দ্বিতীয়বারও একই নিয়মে তাকবির বলে হাত ছেড়ে দিবেন।
ইমাম সাহেব তৃতীয়বার তাকবির বলে হাত বেঁধে ‘আউজুবিল্লাহ’ ও ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য যে কোনো সূরা তেলাওয়াত করবেন। এ সময় মুক্তাদিদের সঙ্গে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকবেন। ইমাম সাহেব নিয়মমতো রুকু-সিজদা সেরে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন। মুক্তাদিদেরও ইমামকে অনুসরণ করতে হবে।
দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব প্রথমে সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য সূরা পড়বেন। এরপর আগের মতো তিন তাকবির বলতে হবে। প্রতি তাকবিরের সময়ই উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। চতুর্থ তাকবির বলে হাত না উঠিয়েই রুকুতে চলে যেতে হবে। এরপর নামাজের অন্যান্য নিয়মেই ঈদের নামাজ শেষ করে সালাম ফেরাতে হবে।
ঈদের নামাজ শেষে ইমাম সাহেব খুতবা পড়বেন। মুসলিমদের জন্য খুতবা শোনা ওয়াজিব। খুতবার সময় কথাবার্তা, চলাফেলা ও নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। অনেক জায়গায় খুতবার সময় টাকা-পয়সা সংগ্রহ করা হয়। এটি অবশ্যই ঠিক নয় এবং তা বর্জন করা উচিত।
কারও ঈদের নামাজ ছুটে গেলে কিংবা যে কোনো কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে একাকি তা আদায় বা কাজা করার সুযোগ নেই। তবে চার বা তারও বেশি লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে তাদের জন্য ঈদের নামাজ পড়ে নেয়া ওয়াজিব।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ঈদের নামাজ নিয়মিত আদায় করেছেন এবং মুসলমানদেরও ঈদের জামাতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্র: মাওলানা মিরাজ রহমান।