২ ইমামকে হত্যার চেষ্টা জেএমবি ইউনিট প্রধানের : গ্রেফতার-১
---
ফয়সাল আহমেদ খান , বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রত্যন্ত ইউনিয়ন তেজখালির আকানগরে গতকাল (শনিবার)সন্ধ্যায় স্থানীয় উগ্রবাদী জঙ্গীনেতা আবদুল করীম, আকানগর হানারপাড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও একটি মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মফিজুল ইসলামকে বিশাল তলোয়ার দিয়ে কুপিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করলে ইমাম কোন রকম দুহাত দিয়ে করবারী ঠেকিয়ে প্রাণে রক্ষা পান বলে জানা গেছে।
জঙ্গী কর্তৃক নিজের প্রাণ বাচাতে চেচামেচি করলে এলাকাবাসী এসে ইমামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং জঙ্গীনেতা আ.করীমকে আটকিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামটির প্রায় ১০ হাজার মানুষ নব্যসৃষ্ট জঙ্গী আতংকে দিশেহারা হয়ে সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রহরা দাবী করে আগামী মঙ্গলবার বৈঠক ঠেকেছেন বলে আজ সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে তা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানানো হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো.তাজুল ইসলাম বলেন ‘জঙ্গীরা কখন কাকে কোপায় সে ভয়ে আছেন।আমি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।
আজ বিকেলে ঘটনাস্থল আকানগর দক্ষিণ ও পূর্ব পাড়ায় গেলে শতাধিক নারী-পুরুষ,শিশু সবাই
সাংবাদিকদের ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,-গত শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) স্থানীয় জঙ্গী নেতা (গ্রামের মানুষের দাবী আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা আছে,এবং সে জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা)
আ.করীম জুম্মা নামাজ শেষে ঢাকাঢ বসুন্ধরা গ্রুপের নিজস্ব কেন্দ্রীয় মসজিদ মাওলানা ইউসুফের ছোট ভাই মাওলানা ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্যে তরবারী নিয়ে আকানগরের পূর্বপাড়া মসজিদের দরজা ভেঙ্গে কুপিয়ে আহত করে।কুপিয়ে ল্যাপটপ.নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।ইকবাল এখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক,শিল্পপতি এবং একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মো.মনিরুল ইসলাম বলেন,-স্থানীয় সংসদ সদস্য ক্যা.এবি তাজুল ইসলাম ইমামদের পরামর্শ দেন প্রতিটি মসজিদে জুম্মা নামাজ শেষে জঙ্গী বিরোধী বক্তব্য রাখার জন্য।সেটি পালন করতে যেয়ে তেজখালি ইউনিয়নের হাফ ডজন ইমামকে আর যেনো জঙ্গী বিরোধী বক্তব্য না দেয় তার জন্য সতর্ক করে নিজেকে জেএমবি নেতা দাবীদার গ্রেফতারকৃত আ.করীম।তারপরও,ইমামগন জঙ্গী বিরোধী বক্তব্য দেয়ার কারনেই ১ দিনের মাথায় কেবল এক করীমই দুজন ইমামকে কুপিয়ে আহত করলো।পুলিশ জেএমবি সদস্য গ্রেফতার করেও তাকে বা:দ:বি:৩২৬ ধারা মারামারি মামলায় গ্রেফতার করানো টা দু:খজনক।’
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ অংশকুমার দেব ও গ্রামবাসীর দাবীকৃত জঙ্গী আ.করীম জেএমবি বা জঙ্গী নয়।মারামারির ঘটনা।গ্রেফতার করে তাকে চালান করে দেয়া হয়েছে।’-কেন মারামারি সেটি বলতে রাজি হননি ওসি এবং এসআই আবু কালাম।
সরেজমিনে আজ সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসী সাংবাদিকদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমান পিপিএম কে মুঠোফোনে গ্রামবাসীর নিরাপত্তা দাবীকরে বিস্তারিত জানিয়েছেন।