‘বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির অন্তহীন প্রেরণার উৎস’ : সাব-রেজিষ্ট্রার, বাঞ্ছারামপুর
---
ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ১৫ আগষ্ট।‘বাঞ্ছারামপুর সাব-রেজিষ্ট্রার অফিস।বাইরে শুনশান নীরবতা।কেবল হাল্কা বৃষ্টির শব্দ।কান পেতে রই অফিসের গেটে।হ্যা-আওয়াজ শুনা যাচ্ছে।
প্রবেশ করলাম।কানে কি যেনো বেজে উঠলো -‘হে আল্লাহ ..তুমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’কে জান্নাতুল ফেরদৌসে পৌছে দিও’–ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে আজ (মঙ্গলবার) ১৯৭৫সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই প্রথম বাঞ্ছারামপুর সাব-রেজিষ্ট্রার কার্য্যালয়ে ভিন্ন আঙ্গিক-শব্দবিহীন ব্যতিক্রমী মিলাদ মাহফিল,জিকির,দোয়া-দরুদ ইত্যাদির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাত পালিন করলো হিন্দুধর্মাবলম্বী এক সরকারি কর্মকর্তা।
স্বদেশ চন্দ্র চন্দ বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সাব-রেজিষ্টার হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে চলমান সব নিয়ম-কানুন।ঘুষ-দূর্নীতি বন্ধ করে,ভূমি রেজিষ্ট্রির প্রয়োজনীয় মূল কাগজ ছাড়া ‘স্বদেশ’ বাবু দলিল রেজিষ্ট্রি করেন না বলে খোজ নিয়ে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলে যা জানা গেছে সেটি এরকম,তিনি চান না মাইক বাজিয়ে কান ঝালাপালা করা হোক।তাই উপস্থিত প্রায় ৪০/৫০ জন দলিল লিখক,ভেন্ডার,নকলনবীশদের নিয়ে নিজের মতো করে আজ সকাল ঠিক ১০ টায় অফিস কম্পাউন্ড-এ ব্যাপক ভাব-গাম্ভীর্য্যের মাধ্যমে যে যার ধর্মনুযায়ী সৃষ্টিকর্তার (আল্লাহ্) কাছে বঙ্গবন্ধুসহ তার সাথে যারা ঐ রাতে শহীদ হয়েছিলো সবার জন্য বিশেষভাবে দোয়া করানো হয়।
দোয়ার আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন,বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সাবরেজিষ্টার স্বদেশ চন্দ্র চন্দ,দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন মোক্তার,সাধারন সম্পাদক(ভারপ্্রাপ্ত) মো.মোকবল হোসেন,ভেন্ডার নাজির হোসেন এবং হুমায়ূন কবীর মোক্তার।
কথা বলে জানা গেছে,তিনি (সাব-রেজিষ্টার)বঙ্গবন্ধুকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন।তার জন্যই আজ আন্তরিকতার সাথে সহকর্মীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্বার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।