শিং মাছে পুষ্টি বেশি?
---
স্বাস্থ্য ডেস্ক : অসুখ-বিসুখ ও রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রোগীদের প্রায়ই লোকে শিং মাছ খেতে বলেন।শিং মাছ মানে যে মাছ রান্নার আগ পর্যন্ত জ্যান্ত থাকে। যেমন শিং, মাগুর, শোল ইত্যাদি। বাজার থেকে কিনে এসব মাছ পানিতে জিইয়ে রাখা যায়। কিন্তু এমন মাছ খেলে উপকার বেশি পাওয়া যাবে—এ ধারণা কতটা সত্যি? আসুন জেনে নিই জিওল মাছের বাড়তি কোনো উপকারিতা আছে কি না।
শিং: এই মাছে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদানের পরিমাণ বেশি। তাই প্রাচীনকাল থেকেই রক্তশূন্যতার রোগীদের শিং মাছ খেতে বলা হয়। এটি হাড়ের ঘনত্বও বাড়ায়। ১০০ গ্রাম শিং মাছে ২২ দশমিক ৮ গ্রাম প্রোটিন, ৬৭০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ২ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম আয়রন আছে।
মাগুর: শিং মাছের তুলনায় মাগুর মাছে আয়রন ও ক্যালসিয়াম একটু কম থাকে। তবে সুস্বাদু বলে এর কদর বেশি। ১০০ গ্রাম মাগুর মাছে আছে ৮৬ ক্যালরি, ১৫ গ্রাম প্রোটিন, ২১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২৯০ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও শূন্য দশমিক ৭ মিলিগ্রাম আয়রন।
শোল: সুস্বাদু এই মাছ মানবদেহের হাড় ও মাংসপেশি গঠনে সাহায্য করে, রুচিও বাড়ায়। ১০০ গ্রাম শোল মাছে আছে ৯৪ ক্যালরি, ১৬ দশমিক ২ গ্রাম প্রোটিন, ১৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, শূন্য দশমিক ৫ মিলিগ্রাম আয়রন, ৯৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং ১ হাজার ৮০ মাইক্রোগ্রাম জিংক।
টাকি: অনেকে এই মাছ ভর্তা করে খায়। ১০০ গ্রাম টাকি মাছে ১৭ দশমিক ১৮ গ্রাম প্রোটিন, ৭৫৭ মাইক্রোগ্রাম জিংক, ১ দশমিক ১৭ মিলিগ্রাম আয়রন ও ১৫৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম আছে।
আসলে যেকোনো তাজা মাছেই পুষ্টি আছে। প্রোটিনের উৎস হিসেবে জিওল মাছ খুবই ভালো। দীর্ঘদিন রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করলে মাছের গুণাগুণ কিছুটা নষ্ট হয়, জিওল মাছে তা অক্ষুণ্ন থাকে। তা ছাড়া এটি খাওয়ার রুচি বাড়ায় বলে রোগাক্রান্ত লোকদের খেতে বলা হয়।