g ইয়াবা পাচারে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃহস্পতিবার, ২৭শে জুলাই, ২০১৭ ইং ১২ই শ্রাবণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

ইয়াবা পাচারে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হচ্ছে

AmaderBrahmanbaria.COM
জুলাই ২৫, ২০১৭
news-image

---

ইয়াবার অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারকারীর সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযোজন করে নতুন আইন প্রণয়ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনিক কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশকে মাদকাসক্তিমুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতিকে সামনে রেখে আমাদের মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশে মাদকাসক্তিমুক্ত, সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর।

দেশে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধ কার্যক্রমকে আরও ফলপ্রসূ করার জন্য সরকার ইতোপূর্বে প্রণীত আইন ও বিধি-বিধান যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন আইন প্রণয়নের কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের অস্ত্র প্রদানের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন, আইএনসিবি এবং ইউএনওডিসির নির্দেশনা অনুযায়ী তফসিল নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। ইয়াবাকে ‘ক’ শ্রেণির মাদকদ্রব্যে অন্তর্ভুক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযোজন করা হয়েছে। অন্যান্য শাস্তির বিধানের ধারাও নতুন করে সাজানো হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইয়াবার আকার এতটাই ছোট যে, কেউ পকেটে করে অনেকগুলো ইয়াবা পরিবহন করতে পারে। এর পরিবহন ব্যয় নেই বললেই চলে। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য ইয়াবা একটি সুন্দর ব্যবসা।

আমাদের কছে যে তথ্য আছে তাতে করে ইয়াবায় প্রচুর লাভ হয়। তাই দ্রুত গ্রামগঞ্জে ইয়াবার বিস্তার লাভ করেছে।

তিনি বলেন, নাফ নদী দিয়েই প্রায় ৭০ শতাংশ ইয়াবা আমাদের দেশে আসে। মাছ ধরার নাম করেই বেশিরভাগ আসে। এজন্য নাফ নদীতে কিছু দিনের জন্য মাছ ধরতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সময় ওই নদীর জেলেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ডের পাশাপাশি নোডাল এজেন্সি হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাজকে আরও বেগবান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিদফতরের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।