হুঁশিয়ারিতে কান নেই : গণহারে ক্ষেপণাস্ত্র বানাবে ইরান
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারণে ক্ষেপে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তাতে কান না দিয়ে এবার ইরান ঘোষণা দিল, গণহারে ক্ষেপণাস্ত্র বানাবে তারা।
শনিবার গণহারে দেশীয় প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র সায়াদ-৩ (হান্টার-৩) বানানোর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছে ইরান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন দেহকান ও ইরানি সামরিক বাহিনীর খাতাম আল-আনবিয়া আকাশ প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফারজাদ ইসমাইলি।
এ অনুষ্ঠানে দেশীয় নকশা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞদের তৈরি কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আল-আনবিয়া আকাশ প্রতিরক্ষা ঘাঁটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেহকান বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে এবং ভূমি থেকে আকাশে ২৭ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে পারে। আকাশে মধ্যম ও দূরপাল্লার হুমকি রুখতে সক্ষম এগুলো।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে সায়াদ-৩ ক্ষেপণাস্ত্র নকশা করা হয়েছে। রাডারের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলা যুদ্ধবিমান, বেনামি আকাশযান, ক্রুজ মিসাইল, হেলিকপ্টার এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ও সক্ষমতার আধুনিক বিমান যদি সায়াদ-৩-এর কার্য এলাকায় আসে, তাহলে তাদের হুমকি মোকাবিলা করতে সক্ষম ইরানের এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো।
প্রসঙ্গত, বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কার্যক্রমের অভিযোগে ১৭ জুলাই ইরানের বিরুদ্ধে নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের ১৮ বিত্তবান ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ বিরুদ্ধে ১৯ জুলাই পাল্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, নতুন নিষেধাজ্ঞা ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির পরমাণু চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে পাল্টা জবাব দেবে তার দেশ।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি হয়। হোয়াইট হাউস সম্প্রতি জানায়, ইরান পরমাণু চুক্তি মেনে চলছে কিন্তু ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমের মাধ্যমে চুক্তির গতিশীলতায় বাধা সৃষ্টি করছে। এর পর দিনই ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
তথ্যসূত্র : প্রেস টিভি ও আলজাজিরা অনলাইন