ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান : যে কোন সময় ঘটতে পারে প্রাণহানি
---
বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান। বিল্ডিংয়ের ছাঁদ ভেঙ্গে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।ঘটতে পারে প্রাণহানী। আরএই ভয়ে অনেক শিশুই বিদ্যালয়ে আসতে চাচ্ছে না জানিয়েছেন অভিভাবকরা। আর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এনায়েত উল্লাহ এর জরাজীর্ণতার কথা শিকার করেছেন।
সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিল্ডিংয়ের চরম দূরবস্থা। ছাঁদ ঢালাই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে পড়ছে মাটিতে। খুঁটি ভেঙ্গে রড বের হয়ে গেছে। আর সামান্য বৃষ্টিতেই হলেই মেঝেতে হাটু পানি লেগে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪ জন শিক্ষক ও ২১৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের স্মারক নং -ডিডি/প্রাই/চবিচ/১৭৩৪/১২, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে এক পত্রে খোলা আকাশের নিচে এবং ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ে পাঠদান পরিচালনা হয় এমন তথ্য চেয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। পত্রের ভিত্তিতে উশিঅ/নাসির/২০১৬/৫৬৬ নং স্মারকে ২১সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রবিউল আলম (ভারপ্রাপ্ত) জেলার নাসিরনগর উপজেলার বেনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুটুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিপাতনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ ও খোলা আকাশের নীচে পাঠদান করছে মর্মে তালিকা প্রেরণ করলেও এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোনরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা শিক্ষা অফিস সূএ জানায়,এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় চেয়ারম্যান আর ম্যানেজিং কমিটির লোকজনদের সাথে কথা বলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব।