মাদকের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা দল-দেশ-আখেরাত সব হারাবে-ক্যা.তাজ এমপি
---
ফয়সল আহমেদ খান ,বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের ১২৫ টি গ্রামে ভয়াবহ মাদক বানিজ্য,সেবন প্রায় বন্ধ হয়ে যাবার খবর পাওয়া গেছে। ‘মাদকের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা দল-দেশ-আখেরাত সব হারাবে’’ বলে হুশিয়ারী বাণী দেন স্থানীয় সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিসহ দল,জনগনসহ সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য।
সরেজমিনে আজ (বৃহস্পতিবার) দিনভর উপজেলার উজানচর,মানিকপুর,ফরদাবাদ,রুপুসদী,সোনারামপুর,দরিয়ােেদৗলত,দরিকান্দি একদল সংবাদকর্মী ঘুরে এমন সু-সংবাদ জানা গেছে।তৃণমূলে খোজ নিয়ে আরো জানা গেছে,-‘চলতি বছরের শুরুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো.মিজানুর রহমানের নের্তৃত্বে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জসহ অন্যান্য পুলিশ ও বেসরকারি পর্যায়ে সাধারন বেশে সোর্স নিয়োগ করে মাদক বিক্রেতা,সেবনকারীদের একের পর এক গ্রেফতার করতে থাকে।এতে,ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে এলাকার বহু মাদক ব্যবসায়ী এলাকা ছেড়ে দেয় এবং যারা মাদক বানিজ্য ছেড়ে দিয়ে আত্বসমর্পন করে,তাদের নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করে,থানা পুলিশের স্পেশাল টীম।
ভিন্ন দিকে,-বাঞ্ছারামপুরের সংসদ সদস্য ক্যা.এবি তাজুল ইসলাম এমপি,-মাদকের বিরুদ্ধে একাধিক সমাবেশে হুশিয়ারী উচ্চারন করায় নিজ দলসহ অন্যান্য দলের মাদকসেবী নেতা-কর্মীরা মাদক ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি অংশু কুমার দেব জানান,-‘আমি ওসি হিসেবে এই থানায় যোগদানের পর,স্থানীয় এমপি একবারও, নিজ দল বা আত্বীয় স্বজনের জন্য মাদকের বিষয়ে কখনোই সুপারিশ না করায় মাদক নিমূর্লে আমরা আরো সহায়তা পেয়েছি।মাদক নিমূর্লে পুলিশ সুপার একাধিকবার সরেজমিনে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আসেন এবং আজ (বৃহস্প্রতিবার) উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে ৩ মাদকসেবী ও বিক্রেতার ঘড়বাড়ি স্থানীয় জনতার সহায়তায় ভেঙ্গে ফেলা হয়।
তিনবারের এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আজ বলেন,-‘মাদক সেবীরা যদি আমার ছায়াতেও,পা রাখে আমি তাকে দল,এলাকা থেকে বহিস্কার করবো’।