আখাউড়ায় ট্রেনের টিকেট কালোবাজারে দৌরাত্ম্য চরমে ! যাএীরা অসহায়
---
নিজস্ব প্রতিনিধি : পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া জংশন স্টেশনে টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে স্থানীয় প্রভাবশালীর ছএছায়ায় তাদের আত্মীয়-স্বজন টিকিট কালোবাজারির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাউন্টারে আসনযুক্ত টিকিট না পেয়ে সাধারণ যাত্রীরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পোহাচ্ছে।
জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে আখাউড়া-আজমপুর এই দুই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। ওই দুই স্টেশনে অন্তত ২০টি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি রয়েছে। এই ষ্ট্রেশননে আসনযুক্ত টিকিট পাওয়া যেন ভাগ্যের ব্যাপার। এই দুই স্টেশনের প্রতিদিন গড়ে ৯০ শতাংশ টিকিট চলে যাচ্ছে কালোবাজারিদের হাতে। এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
আখাউড়া স্টেশন মাষ্টার, বুকিংক্লার্ক, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, রেলওয়ে পুলিশসহ রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে স্থানীয় কালোবাজারিরা দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা করে আসছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। প্রতিদিনই এ চিত্র আখাউড়া ও আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনের। দৈনিক টিকিটের পাশাপাশি অগ্রীম টিকিটের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রীরা রীতিমত তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
সূত্র জানায়, আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন পান দোকান, চা স্টল, সেলুনসহ আশপাশের দোকানপাটে এখন অবাধে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। টিকিট কালোবাজারি রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যদি আন্তরিক হতো তাহলে এ অবস্থা সৃষ্টি হতো না বলে সাধারণ মানুষসহ ভুক্ত ভোগী যাত্রীরা জানান।
ঢাকায় থাকেন বাড়ি আখাউড়ায় কথা হয় এরকম বেশ কয়েকজন যাএীর সাথে তারা বলেন, কর্মস্থল ঢাকা যেতে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন টিকিট কাউন্টারে আসনযুক্ত টিকিট কোনো দিন পাইনি। উপায় না পেয়ে কালোবাজারীদের কাছ থেকে ১৬০ টাকার টিকিট সাড়ে ৩শ’ টাকা করে ক্রয় করতে হয়। এ কারণে আমরা অনেক সময় বাড়িতে আসতে ইচ্ছে করে না।
আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের সুপার মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, আগের চেয়ে টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যে অনেকটা কম। স্টেশন চত্বরে কোনো টিকিট কালোবাজারি নেই। যদি কেউ বাহিরে টিকিট বিক্রি করে থাকে তাহলে আমার কিছু করার নেই।
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে থানার (এ,এসপি) সার্কেল মো.পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, টিকেট কালোবাজারিরা মোবাইলের মার্ধ্যমে তাদের টিকেট বেচা-কেনা করেন। আমি এ ব্যাপারে নিজে সাড়াঁশি অভিযান চালাচ্ছি। আশা করি তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পারব।জিআরপি পুলিশ টিকেট কালোবাজারির সাথে জড়িত এটি সঠিক নয়।