অর্থাভাবে ২০৩০ সালে মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে পারবে না নাসা!
---
অনলাইন ডেস্ক : মঙ্গলগ্রহে বসতি স্থাপন করা নাসার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন, এমনকি প্রকাশ্যে সংস্থাটি অনেকবার বলেছে ২০৩০ সালের মধ্যে মন্যুষ্যবাহী মহাকাশযান পাঠাবে। কিন্তু মহাকাশযাত্রার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে না বাজেটের অভাবে।
নাসার হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন অব স্পেস উইলিয়াম গের্সটেনমেয়ার বলেন, বর্তমান বাজেটে মঙ্গলে মনুষ্যবাহী মহাকাশযান পাঠানো যাবে না। বর্তমান অবস্থায় ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ পাঠানো সম্ভব না। মঙ্গল যাওয়ার প্রজেক্টটি সর্বোচ্চ প্রাধান্যে দিচ্ছে এবং সম্ভাব্য এক্সপ্লোরেশন জোনগুলো নিয়ে গবেষণা করছে।
মঙ্গলে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান পাঠিয়েছে, সর্বশেষ ২০১২ সালে কিউরিওসিটি রোভার পাঠিয়ে ছিল যাতে খরচ হয়েছিল ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গের্সটেনমেয়ার বলেন, মনুষ্যবাহী যানের ওজন কিউরিওসিটির ২০ গুণ হবে আর খরচটাও হবে ২০ গুণ।
২০১৭ অর্থবছরে নাসার জন্য ১৯.৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। গের্সটেনমেয়ার বলেন, এই বাজেট আগের তুলনায় মাত্র ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলে আমাদের সারফেস সিস্টেম নেই। মঙ্গলে প্রবেশ, অবতরণ ও ল্যান্ডিং আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ।
নাসা এখন পর্যন্ত মঙ্গল অভিযানের সম্ভাব্য খরচের কোনো নির্ধারিত পরিমাণের কথা বলেনি। কোনো কোনো হিসাব অনুযায়ী সেটা ৩০ বছরে ১০০ কোটি ডলার থেকে ২৫ বছরে ১ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত। তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো মঙ্গল অভিযানে নাসার তুলনায় অনেক কম খরচের কথা বলেছে। ডাচ-সুইস মালিকানাধীন মার্স ওয়ান মঙ্গলে ৪ জন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ৬ বিলিয়ন ডলারে। এদিকে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স এর মালিক এলন মাস্ক ২০১৬ সালে জানিয়েছে, মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে জনপ্রতি ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। নিউজউইক।