তিতাসের কুরুলিয়া পাড় ভাঙ্গছে অবৈধ ড্রেজারে ! দেখার কেউ নাই
---
তৌহিদুর রহমান নিটল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌরশহরের নয়নপুর থেকে চন্ডার খিল রহিমপুর নামক স্হানে তিতাস নদীর পাড়ের কুরুলিয়া রক্ষা বাধেঁর অংশ অবৈধ ড্রেজার লাগিয়ে দিন-রাতে নৌকা থেকে বালু আনলোড করা হচ্ছে। সারাক্ষণ এসব নৌকার বাড়তি চাপে আর আনলোড ড্রেজারে কম্পনের কারণে পাড় রক্ষার বাধেঁর ব্লক ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। যেখানে সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে ব্লগ দিয়ে তিতাস কুরুলিয়া দুপাড় রক্ষার চেষ্টা করছে সেখানে কতৃপক্ষের রক্ষণা-বেক্ষণ অভাবে আর অবৈধ ভাবে ক্ষমতাবানদের দৌরাত্ম্যে ভেঙ্গে সরে যাচ্ছে পাড়ের সব ব্লক গুলো।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় যে, চন্ডাখিলের রহিমপুর অংশে বাবুল মিয়া ও দারুমিয়ার বাড়ির সামনে অবৈধ আনলোড ড্রেজার লাগিয়ে সারাক্ষণ নৌকা থেকে বালু আনলোড করা হচ্ছে। যেখানে সরকার নদী পাড় রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সেখানে কতৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তিতাস কুরুলিয়ার অংশে ব্লক ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
কথাহয় ভুক্ত ভোগী বেশ কয়েকজনের সাথে তারা বলেন, আমরা নদীপাড়ে বসবাস করি। কিন্তু আনলোড ড্রেজার লাগিয়ে রুবেল নামে এক ব্যক্তি সারাদিন নৌকা থেকে বালু উওোলন করছে। এতে নদীর পাড়ে ব্লক গুলো সরে যাচ্ছে। এভাবে পাড় ভাঙ্গতে থাকলে কিছুদিনের মর্ধ্যে আমাদের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা দিনমজুর অসহায় মানুষ বাপ-দাদার দেয়ার দুই/তিন শতক ভূমিতে পরিবার নিয়ে কোন ররকমে বসবাস করছি। যদি নদীতে আমাদের শেষ ভিটা মাটিটুকু বিলীন হয়ে যায় তাহলে পথে বসা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা। এছাড়া ড্রেজার পাইপ জোড় পূবক ভাবে লাগিয়ে আমাদের জায়গার উপর দিয়ে নিয়ে গেছে। ড্রেজার মেশিনে শব্দে আমাদের বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনা করতে পারছেনা। সব মিলিয়ে আমরা অসহায় জীবন যাপন করছি। ড্রেজার মালিককে ভয়ে কিছু বলার সাহসও পায়না। সে নাকি টাকা দিয়ে সব অনুমতি এনে রেখেছে।আমরা কতৃপক্ষের কাছে জোড়দাবী জানাচ্ছি কুরুলিয়া রহিমপুর অংশে অবৈধ আনলোড ড্রেজার সরিয়ে আমাদের শেষ রক্ষা টুকু করবেন।
ড্রেজার মালিক রুবেল বলেন, এই আনলোড ড্রেজারের মালিক আমি। কতৃপক্ষের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেয়নি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সাইফুল্লা জানান, আমি খুব দ্রুত ঘটনা স্হলে লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিব।