আগেভাগেই রাজধানী ছাড়ছে নগরবাসী
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের বাকি এখনো ছয় দিন হওয়া সত্ত্বেও ঈদের আনন্দ আপনজনকে নিয়ে উপভোগ করতে নাড়ির টানে ছুটেছে নগরবাসী।
বিড়ম্বনা এড়াতে আগেভাগেই চলে যাচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে ছাত্র, গৃহবধূ আর শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ঘরে ফেরার তাড়া বেশি।
মঙ্গলবার রাজধানীর অন্যতম বাস টার্মিনাল গাবতলীতে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে। তবে এবার ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন দূরপাল্লার বাসের আগাম টিকিট আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক যাত্রী।
সরজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই পরিবার পরিজনদের গ্রামের বাড়ি পৌঁছে দিতে অনেকেই এখন খুবই ব্যস্ত।
সরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ সাত্তার হোসেন তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাড়িতে পাঠানোর জন্য গাবতলী হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে এসেছেন। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার অফিস এখনো খোলা রয়েছে। আর দুই তিনদিন পরে যাত্রীদের চাপ বাড়বে তাই আগে ভাগেই স্ত্রী সন্তানদের পাঠিয়ে দিচ্ছি। পরে আমি ছুটি পেলে একা যেতে কোনো সমস্যা হবে না।
বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা তবিবুর ইসলাম। ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ২৬ জুন হলেও আজ স্ত্রী-সন্তানকে গ্রামের বাড়ি ফেরার জন্য খুলনাগামী বাসে তুলে দিতে গাবতলী এসেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ঈদের সময় তীব্র যানজট আর মানুষের ভিড়ে বাড়ি ফেরা খুবই বিড়ম্বনার। তাই ওদের আগেই পাঠিয়ে দিচ্ছি। আর আমি ২৩ তারিখে বাড়ি ফিরব।
গাবতলী এসআর ট্র্যাভেলসের কাউন্টার ম্যানেজার মো. হান্নান জানান, গতকাল থেকে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এবার আগেভাগে ঈদের ছুটি হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীরা আগে ভাগেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে তাদের পরিবারের লোকজনও যাচ্ছে।
এস আর পরিবহনের সামনে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সুমাইয়া জাহান বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। গত রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হয়েছে। কেনাকাটর জন্য দুই দিন পরে বাড়ি যাচ্ছি। ঈদে যাত্রীদের যে চাপ তা এখনো শুরু হয়নি। তাই রাস্তায় তেমন সমস্যা হবে না বলে আশা করছি।
অন্যদিকে রহিম ইসলাম নামে খুলনাগামী এক যাত্রী বলেন, কলেজ ছুটি হয়ে গেছে তাই অযথা সময় নষ্ট না করে আগেভাগেই বাড়িতে যাচ্ছি। বাড়িতে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাব।
রংপুরগামী মোহাম্মদ রায়হান বলেন, আমি রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। সবার সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছি। অফিস-আদালত ছুটি হবে আগামী ২২ অথবা ২৩ তারিখের দিকে। তখন খুব ভিড় হবে, এই চিন্তা করেই আজ যাচ্ছি।
সাকুরা এসি বাসের কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম জানান, এখনো যাত্রীদের চাপ খুব একটা শুরু হয়নি। তবে আগামী ২২ ও ২৩ তারিখে অতিরিক্ত চাপ হবে, যা সামলানো আমাদের জন্য কষ্টকর হবে।