অনেক সাধের সেই টিকিট!
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সোমবার থেকে। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে তাই ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশী মানুষ। এ যেন এক অধরা জিনিস। হাতে এলে তবেই যেন শান্তি—‘পেলাম, আমি পেলাম!’ কাউন্টারের সামনে টিকিটের জন্য অনেকে দাঁড়িয়ে অধীর অপেক্ষায়। কারও হাতে যেই টিকিট আসছে, অমনি চোখমুখে উপচে পড়ছে উচ্ছ্বাস।
টিকিট বিক্রির প্রথম দিন আজ সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষজন স্টেশনে আসছেন। সকাল আটটা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। পুরুষদের কাউন্টারে ভিড় বেশি চোখে পড়েছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় কিছুটা কমে আসে। নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ কাউন্টারে খুব বেশি ভিড় ছিল না।
আজ ২১ জুনের টিকিট বিক্রি চলছে। ঢাকা পলিটেকনিকের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সুজন মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিকিট কেনার কোনো নিয়ত ছিল না। দেখতে এসেছি কেমন চলছে কেনাবেচা। দীর্ঘ লাইন ছিল না বলে কিনেই ফেললাম। এসির টিকিট কিনেছি। গেল বার লাইনে দাঁড়িয়ে নন এসির টিকিটও পাইনি।
রামপুরা নিবাসী স্কুলশিক্ষক আলপনা খাতুন জামালপুরে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। চাহিদা অনুযায়ী চারটি টিকিট পেয়েছেন। তিনি বললেন, ‘মাত্র আসলাম, মাত্রই টিকিট পেয়ে গেলাম। কোনো সিরিয়াল ধরতে হয়নি।’
ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বললেন, ‘এবার একটু আগে বাড়ি যাব। সকাল থেকে লাইন ভঙ্গ বা কোনো অনিয়ম চোখে পড়েনি। তবে গত বছর টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে আরও অনেক দীর্ঘ সারি ছিল।’
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আন্তনগর ও স্পেশাল ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য পাঁচ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১৬ জুন পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।
স্টেশনমাস্টার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, এবারে ঈদ উপলক্ষে ২২ হাজার ১২২টি অগ্রিম টিকিট ছাড়া হয়েছে। সকাল থেকেই মানুষজন নির্বিঘ্নে টিকিট কাটছেন। স্টেশনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র্যাব কাজ করছে।প্রথম অালো