‘এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিশুশ্রম নিরসন অন্যতম সূচক’
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিশুশ্রম নিরসনকে অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করেছে। যে কোনো সংঘাত, সংকট, দুর্যোগে শিশুদের নিরাপদ রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।
রবিবার বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বিষয়ক আইএলও কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে। শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ প্রণয়ন করেছে সরকার।
এসডিজিকে সামনে রেখে সম্প্রতি ২০২৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ কাজ করছে। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ প্রণয়ন করেছি।
এই নীতির বাস্তবায়ন গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আইএলও-এর সহায়তায় জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ শিশুশ্রম নিরসনে বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা কমিটিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৩৮ ধরণের কাজ চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুদের প্রত্যাহার করে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। শিশুদের উন্নয়ন ও কল্যাণে ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সকল শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই, শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু রয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের সন্তানদের যাতে শিশুশ্রমে নিয়োজিত হতে না হয়, সে লক্ষ্যে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি মেডিকেল কলেজ, কৃষি, প্রকৌশল বা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের এ সকল সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশে শিশুশ্রম হ্রাস পেয়েছে।
তিনি সরকারের পাশাপাশি শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও শিশুদের কল্যাণে বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। সূত্র : বাসস