থেরেসা মে-ই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :নির্বাচনে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থেরেসা মে-ই দায়িত্ব পালন করবেন। এমনটিই ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ পার্টির এ নেত্রী।
২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নিজের ক্ষমতাকে আরো নিরঙ্কুশ করতে মধ্যবর্তী নির্বাচন দেন মে। আসন বাড়াতে গিয়ে উল্টো সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ৩২৬ আসন পেতেই ব্যর্থ হয় তার দল। বিপরীতে বিরোধী দল লেবার পার্টি হয়ে উঠেছে আরো শক্তিশালী। ফলে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েন থেরেসা মে।
লেবার পার্টির নেতা জেরমি করবিন বলেন, ‘নিজের কর্তৃত্ব দৃঢ় করতে পার্লামেন্টে আরো সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের আশায় প্রধানমন্ত্রী আগাম নির্বাচন ঘোষণা করেছিলেন। আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি গণ রায় জানতে চেয়েছিলেন। তিনি যা পেয়েছেন তা হলো; রক্ষণশীলরা আসন হারিয়েছে, ভোট হারিয়েছে, সমর্থন হারিয়েছে এবং আত্মবিশ্বাস হারিয়েছে।’
মে’র পদত্যাগের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, তার (থেরেসা মে) সরে দাঁড়ানোর জন্য এসব কারণই যথেষ্ট। বিশেষ করে এমন একটি সরকারের জন্য পথ ছেড়ে দেয়া, যারা সত্যিকার অর্থেই এ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে।’
তবে থেরেসা মে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনিই দায়িত্ব পালন করবেন। সরকার গঠনের অনুমতি চাইতে শুক্রবার বাকিংহাম প্যালেসে রানীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রানীর অনুমতি পাওয়ার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে ভাষণ দেন থেরেসা মে। ভাষণে তিনি বলেন, আমি এখন একটি সরকার গঠন করব। যে সরকার নিশ্চয়তা দেবে এবং সংকটময় এ সময়ে ব্রিটেনকে এগিয়ে নেবে।
পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ৩২৬টি আসন জয়ে ব্যর্থ হওয়ায় নর্দান আয়ারল্যান্ডের ডিইউপি পার্টির সঙ্গে মাইনোরিটি সরকার গঠন করতে যাচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টি। নির্বাচনে দলটি ৩১৮টি আসন পেয়েছে এবং ডিউপি ১০টি আসনে জয়লাভ করেছে। ডিউপির ১০ জন এমপি-র সমর্থনে হাউস অব কমন্সে যেকোনো বিল পাস এবং সরকার গঠন করতে পারবেন মে।
এদিকে, নতুন সরকার গঠনের ১০ দিনের মধ্যেই ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনা শুরু হবে বলে জানান থেরেসা মে। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৯ জুনের মধ্যে এ আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের কারণে এটি পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার থেরেসা মে নিশ্চিত করেন, পূর্বনির্ধারিত সময়েই এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।