কাতারের প্রতি আরও ‘নিষ্ঠুর’ আচরণ দেখালো আমিরাত!
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চরমপন্থীদের সমর্থনের অভিযোগ এনে আগেই কাতারের সঙ্গে সব ধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এখন খাদ্য সংকটে ভুগতে থাকা দেশটির ওপর আরও নিষ্ঠুর আচরণ দেখাল প্রতিবেশী এই মুসলিম প্রধান দেশটি। ইউএই সরকার হুমকি দিয়ে বলেছে, কেউ যদি কাতারের প্রতি সহানুভূতিশীল বক্তব্য প্রকাশ করে, তাহলে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে। খবর বিবিসির।
আমিরাতের অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে দোহার সরকারের প্রতি সমর্থন দিয়ে কোন পোস্ট করা হলে তাকে সাইবার অপরাধ বলে বিবেচনা করা হবে।
এদিকে, পারস্য উপসাগরের প্রতিবেশী দেশগুলো কাতারকে একঘরে করার পর তারা ইরান এবং তুরস্ক থেকে বিমান বোঝাই করে খাদ্য সামগ্রী আনার পরিকল্পনা করছে।
একই সঙ্গে ইরান এবং তুরস্ক থেকে পাওয়া খবরে বলা হচ্ছে, কাতারের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় তারা সেখানে বিমানে খাবার ও পানি পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
এছাড়া তুরস্ক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা কাতারের সামরিক ঘাঁটিতে সৈন্য পাঠানোর লক্ষ্যে পার্লামেন্টে দ্রুত একটি বিল পেশ করবে।
কাতার তার খাদ্য এবং পানির জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল। ইরান, তুরস্ক এবং অন্য কয়েকটি দেশ থেকে যেন খাদ্য ও পানি আমদানি করা যায় সেজন্যে সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাতারের কয়েকজন কর্মকর্তা।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতাতে প্রচুর তেল মজুদ রয়েছে। তরল প্রাকৃতিক গ্যাস সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ ও ঘনীভূত গ্যাসের সবচেয়ে বড় বিক্রেতা কাতার তার খাদ্য এবং পানির জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল।