বৃহস্পতিবার, ৮ই জুন, ২০১৭ ইং ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

রোজায় ইসুবগুল কেন খাবেন?

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ৫, ২০১৭

---

নিজস্ব প্রতিবেদক : রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে চলছে সংযমের মাস রমজান। প্রায় শেষের দিকে এ মাহে রমজান। তীব্র গরমের এই দিনে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। নিয়ম অনুযায়ী রোজা রাখতে সব রকম পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়। এসময় পরিশ্রমী বা স্পর্শকাতর অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু সব সমস্যা এড়িয়ে নির্বিঘ্নে রোজা রাখার প্রধান সহায়ক হতে পারে ইসুবগুলের শরবত। ইসুবগুলের ভুসির কার্যকারিতা:

১. ইসুবগুলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যামাইনো এসিড, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে দারুণ উপকারী।

২. পাকস্থলী ঠাণ্ডা বা শীতল রাখতে ইসুবগুলের তুলনা নেই।

৩. কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, ওজন হ্রাস ইত্যাদিতে ইসুবগুলের ভুসি উপকারী।

৪. পেটব্যথায় দ্রুত উপকার পাওয়া যায় একগ্লাস ইসুবগুল শরবতে।

৫. পাইলস সমস্যায় ভুগলে প্রতিদিন তিন-চারবার ইসুবগুল শরবত খাওয়া উচিৎ।

৬. হজমের সমস্যা দূর করতেও ইসুবগুলের তুলনা নেই।

৭. পেটে সমস্যা দেখা দিলে তিন টেবিল চামচ ভুসি এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ বা পানির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দুইবার খাওয়া যেতে পারে। তবে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা, তারা দিনে তিনবারও খেতে পারেন।

৮. প্রতিদিন ইসবগুলের ভুসি খেলে আমাশয় ও অর্শ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

৯. প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ইসুবগুলের ভুষির শরবত খেলে যৌনতা বৃদ্ধি পায়।

১০. ডায়েবেটিস রোগীদের রক্তে চিনির মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ইসুবগুলের ভুসি খাওয়া ঠিক নয়।