মাংসের ক্রেতা-বিক্রেতা বিপাকে
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত মাংসের দামে বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, শহরের ফারুকী বাজার, কাউতলী বাজার ও মেড্ডা বাজারের মাংস বিক্রেতারা নির্ধারিত মূল্যের মাংস বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে অনেকটাই হিমশিম খাচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০ /৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০/৮০০টাকা, মহিষের মাংস ৪৬০টাকা কেজি ও কলিজা ৫০০ টাকা দরে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে ্বলে জানিয়েছেন মাংস বিক্রেতারা। মাংস বিক্রেতা কামাল মিয়া, জাবেদ মিয়া ও জাকির মিয়া জানান, বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত দামে আমরা মাংস বিক্রি করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ১শ’ কেজি মাংসতে আড়াই থেকে ৩ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। আগে যেখানে গরুর হাটগুলিতে ১শ’ কেজি ওজনের একটি গরু ৪০/৪২হাজার টাকায় ক্রয় করা যেতো নির্ধারিত মূল্যের বাতাস পেয়ে গরুর বাজারের খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা প্রতি গরুতে ৮/১০হাজার টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে বাজারে ১০ কেজি ওজনের একটি খাসি সাড়ে ৫/৬ হাজার দরে কেনা যেতো তা এখন সাড়ে ৬/৭হাজার টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। এতে করে খুচরা বাজারে এ মাংস একদিকে যেমন সাধারণ ক্রেতারা কিনতে হিমশিম খাচ্ছে, অন্যদিকে আমরা বিক্রেতারা সে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত বসে থেকেও মাংস বিক্রি করতে বেশ হিমশিম খাচ্ছি। হাট থেকে অতিরিক্ত দামে গরু এবং খাসি কিনে তা বাজারে এনে খুচরা দামে বিক্রি করে কোনভাবেই আমাদের মূলধন মেলাতে পারছি না। এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো মাংস বিক্রি থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিনিয়ত আর কত লোকসান দিতে থাকব। বাজারে কথা হয় মাংস ক্রেতা শফিক মিয়া ও জোসনা বেগমের সাথে, তারা বলেন আমরা সাধারণ মানুষ রোজা রমজানের দিনও ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ৫শ’ টাকা কেজি দিয়ে ৩/৪ কেজি মাংস কিনে নিতে পারছি না। যে মাংস বিগত ৩ মাস আগেও ৩৮০/৪শ’ টাকা দরে কিনেছি তা এখন কেজি প্রতি ১২০টা থেকে ১৫০টাকার কাছাকাছি বেড়েছে। তাই আমাদের অনেকেই সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। খাসির মাংস ক্রেতা রঞ্জন কুমার জানান, দাদা আমরা নিম্নআয়ের মানুষগুলো আর খাসির মাংস কিনে খাওয়ার মতো কোন উপায় নেই। ২ কেজি খাসির মাংসের দাম যদি ১৫০০/১৬০০ টাকা হয় যাও আবার আমার ঘরে দু্েবলা খেতে জোর বাজে তাহলে আমাদের পক্ষে কি এত চড়া দামে মাংস কিনে নিয়ে খাওয়া সম্ভব হবে? এক সময় হয়তো বাজারে এরকম মাংসের দাম থাকলে কোন ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়া নিম্ম আয়ের সাধারণ ক্রেতারা মাংস খাওয়ার কথা অনেকটাই ভুলে যাবে।