মঙ্গলবার, ৬ই জুন, ২০১৭ ইং ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

কে হচ্ছেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ৪, ২০১৭
news-image

---

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৃটেনের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে জেরেমি করবিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির সমর্থন ততোই বাড়ছে। কিছুদিন আগেও জনমত জরিপগুলোতে বিপুলভাবে এগিয়েছিল ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। কিন্তু দ্যা টাইমস সংবাদপত্রের উদ্যোগে করা সর্বশেষ জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, কনজারভেটিভ পার্টি ২০টি আসন হারাতে পারে আর লেবার পার্টির আসন ২৮টি বাড়তে পারে। জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ইউগভ এর উদ্যোগে করা জরিপের ফল সত্য হলে কনজারভেটিভ পার্টির আসন ৩৩০টি থেকে কমে দাঁড়াবে ৩১০টিতে, যা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ১৬টি কম। অন্যদিকে, লেবার পার্টির আসন সংখ্যা ২২৯টি থেকে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২৫৭টিতে। লিবডেমের আসন ৯টি থেকে ১০টিতে উন্নীত হতে পারে, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ৫০টি আসন, গ্রীন পার্টি ১টি আর প্লাইড কামরি ৩টি আসন পেতে পারে বলে জরিপের ফলাফলে জানানো হয়েছে।এক সপ্তাহব্যাপী ৫০ হাজার লোকের মধ্যে পরিচালিত হয় এই জরিপ। এতে সব ধরনের ভোটারকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। সাম্প্রতিক গণভোটে তাঁরা কীভাবে ভোট দিয়েছিল, তাঁদের বয়স, কোথায় বসবাস এবং অন্যান্য নেপথ্য তথ্য বিশ্লেষন করেছে ইউগভ। এরপর সেই তথ্যের সাথে অফিস অব ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্সের ডাটা, ব্রিটিশ ইলেকশন স্টাডিজের তথ্য এবং অতীতের নির্বাচনের ফলাফল গুলোর সাথে মিলিয়ে প্রত্যেকটি আসনের জন্য আলাদা-আলাদা সম্ভাব্য ফলাফলের তালিকা তৈরি করেছে জরিপকারী প্রতিষ্ঠানটি। তবে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে ইউগভ এ কথাও বলেছে যে, নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ভোটারদের মানসিকতায় ব্যাপক পরিবর্তনও ঘটতে পারে। কনজারভেটিভের জন্য ৮জুন খুব বেশি খারাপ হলে তারা ২৭৪টি আসন পেতে পারে আর খুব ভালো দিন হলে ক্ষমতাসীন দলটি ৩৪৫টি আসন পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে জরিপে।

এদিকে,স্কাইনিউজ টেলিভিশন ও বিবিসি টেলিভিশনে দুই দফা বিতর্কসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন ছোট বড় সমাবেশে বড় দুই দলসহ অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলো এবং আঞ্চলিক দলগুলো ইতোমধ্যে নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আগ্রহ ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দল ও প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টির ইশতেহারের প্রতি। প্রধান কয়েকটি ইস্যুতে ক্ষমতাপ্রত্যাশী প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হচ্ছে; লেবার ৫ বছরে এনএইচএস বরাদ্দ ৩০ বিলিয়ন পাউন্ড করবে, ইউনিভার্সিটির টিউশন ফি বাতিল করতে পদক্ষেপ নিবে, ইমিগ্রেশন নীতিতে চাকরির বাজারে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং ১০ লাখ ঘর নির্মাণ ও হেল্প-টু-বাই স্কীম অব্যাহত রাখার ঘোষনা দিয়েছে।অপরদিকে কনজার্ভেটিভ বলেছে; ৫ বছরে এনএইচএস বরাদ্দ ৮ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে,প্রতিবছর কমপক্ষে ১০০টি ফ্রি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে,ইমিগ্র্যান্ট লাখের ঘর থেকে হাজারে নামবে এবং ১০ লাখ ঘর নির্মাণ করা হবে।তাদের এতো আয়োজনের পরও জরিপে দেখা যাচ্ছে কনজারভেটিভ ২০টি আসন হারাতে পারে : লেবারের বাড়তে পারে ২৮টি।অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকে আসা ইমিগ্র্যান্টদের নিয়ন্ত্রণ করতে চায় কনজারভেটিভ দল। পাশাপাশি ব্রিটেনে বসবাসরত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর নাগরিক ও সেসব দেশে বসবাসরত ব্রিটিশ নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে চায় এই দল। ইউনিয়নের নাগরিকদের ফ্রি মুভমেন্ট বাতিল করে একটি ‘কমন ট্রাভেল এরিয়া’ বাস্তবায়ন করতে চায় কনজারভেটিভ। সর্বোপরি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সাথে দরকষাকষি করে ব্রিটেনের জন্য সবচেয়ে ভালো একটা প্রস্তাব (ডিল) বাস্তবায়ন করতে চায় তারা। খারাপ ডিল (প্রস্তাব) এর চেয়ে নো ডিল (খালি হাতে) ফিরে আসার চিন্তা-ভাবনাও করছে এই দলটি। অন্যদিকে, লেবার পার্টি ক্ষমতায় গেলে কনজারভেটিভ পার্টির ব্রেক্সিট সংক্রান্ত পরিকল্পনা বাতিল করে দেবে।তারা সিঙ্গেল মার্কেটে (অভিন্ন বাজার) থাকা ও কাস্টমস ইউনিয়নে থাকার কথা মাথায় নিয়ে নতুন করে দরকষাকষি শুরু করবে।

আগামী ৫ বছরে এনএইচএস এর বরাদ্দ ৮ বিলিয়ন বৃদ্ধি করবে কনজারভেটিভ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো থেকে আসা ১৪০ হাজার এনএইচএস কর্মী যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই তাদের কাজ চালিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত দরকষাকষিতে গুরুত্ব দেবে কনজারভেটিভ দল। এছাড়া বিদেশীরা এনএইচএস এর সেবা গ্রহণ করলে তার খরচ ওই বিদেশীদের নিকট থেকে আদায় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কনজারভেটিভ দল। অন্যদিকে, এনএইচএস এর আর্থিক বরাদ্দের উপর আরোপিত সীমা বাতিল করে আগামী ৫ বছরে অতিরিক্ত ৩০ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লেবার পার্টি। এক মিলিয়ন রোগীকে এনএইচএস এর অপেক্ষমান তালিকা থেকে মুক্তি দিয়ে ১৮ দিনের মধ্যে তাদের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে লেবার। এনএইচএস ইংল্যান্ডের রোগী, কর্মী ও ভিজিটরদের জন্য বিনামূল্যে পার্কিং সেবা দেবে লেবার পার্টি। এছাড়াও জিপি সার্ভিসগুলোতে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ মেন্টাল হেলথ বাজেটের অর্থ আলাদাভাবে জমা রাখারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লেবার পার্টি।এডুকেশন: ২০২২ সাল নাগাদ স্কুলের বাজেট গড়পড়তা ৪ বিলিয়ন পাউন্ড বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি রয়েছে টোরি দলের। প্রতিবছর কমপক্ষে ১০০টি ফ্রি স্কুল প্রতিষ্ঠা করবে দলটি। এছাড়া অফস্ট্যাড রিপোর্টে যেসব স্কুল ‘ইনএডিকুয়েট’ কিংবা ‘রিকয়ার্স ইমপ্রুভমেন্ট’ হিসাবে গণ্য হবে সেসব স্কুলের আসন সংখ্যা না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি আছে কনজারভেটিভের। এছাড়া প্রথম তিন বছর ফ্রি স্কুল লাঞ্চের পরিবর্তে প্রাইমারি স্কুলের প্রতিটি শ্রেণীতে প্রতি বছর ফ্রি ব্রেকফাস্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কনজারভেটিভ দল।অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের জন্য একক শিক্ষা সেবা বাস্তবায়ন করবে লেবার পার্টি। ইউনিভার্সিটি টিউশন ফি বাতিল করার পাশাপাশি ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়স্ক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এডুকেশন মেইন্টেন্যান্স অ্যালাওয়েন্স আবার চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লেবার পার্টি। সাথে সকল স্কুল ছাত্রের জন্য ফ্রি স্কুল মিল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে লেবার পার্টির ইশতেহারে।
অন্যদিকে ইমিগ্রেশনকে টেকসই মাত্রায় কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে টোরি দল। অর্থাৎ লাখের ঘর থেকে হাজারের ঘরে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে টোরি দল। পরিবারের সদস্যদেরকে নিজ দেশ থেকে ব্রিটেনে আনতে হলে আগের চেয়ে আয়-রোজগার আরো বেশি দেখানোর শর্ত আরোপ করবে টোরি দল। বার্ষিক ইমগ্রেশন সংখ্যায় বিদেশী ছাত্রদের গণনা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে টোরি দল। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সংঘাত ও দ্বন্দ্বের কারণে শরণার্থী হওয়া লোকদের আশ্রয় দেবে কনজারভেটিভ দল, তবে আশ্রয় প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তারা।

অন্যদিকে, ইমিগ্রেশনের ক্ষেত্রে বার্ষিক লক্ষ্য নির্ধারণের মতো ভিত্তিহীন কাজ না করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সমৃদ্ধি ও চাকরির বাজারকে অগ্রাধিকার দিয়ে ইমিগ্রেশন নীতি বাস্তবায়ন করবে লেবার পার্টি। বার্ষিক ইমিগ্রেশন সংখ্যার সাথে বিদেশী ছাত্রদের সংখ্যাকে অন্তর্ভূক্ত না করার ঘোষণা দিয়ে লেবার পার্টি বলেছে, ভুয়া কলেজগুলোর বিরুদ্ধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।আবার ২০১৫ সালে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে ২০২০ সালের শেষ নাগাদ ১০ লাখ ঘর নির্মাণ করবে কনজারভেটিভ দল। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ আরও ৫ লাখ ঘর বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কনজারভেটিভ দল। ঘর নির্মাণের জন্য বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন জায়গা ছাড় করবে টোরি। নতুন ফিক্সড-টার্ম স্যোশাল হাউজ নির্মাণ করে ১০ থেক ১৫ বছর পর ওইসব ঘরের ভাড়াটেদের কাছে ঘরগুলো বিক্রি করবে টোরি দল। অন্যদিকে, লেবার পার্টি প্রতিবছর ১০ লাখ নতুন ঘর নির্মাণ করার পাশাপাশি এক লাখ কাউন্সিল ও হাউজিং এসোসিয়েশনের মালিকানাধীন ঘর নির্মাণ করবে। ফার্স্ট টাইম বায়ারদের জন্য আগামী ২০২৭ সাল পর্যন্ত হেল্প-টু-বাই স্কীম অব্যাহত রাখবে লেবার পার্টি। প্রাইভেট রেন্টারদের ভাড়া যাতে লাগামহীনভাবে না বাড়ে সে লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে লেবার পার্টি। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিল যত দিন পর্যন্ত না একই সংখ্যক ঘর নির্মাণ করার প্রমাণ দিতে না পারবে ততোদিন পর্যন্ত ওই কাউন্সিলে রাইট-টু-বাই স্থগিত করবে লেবার পার্টি। বেডরুম ট্যাক্স বাতিল করার পাশাপাশি ১৮ থেকে ২১ বছর বয়স্কদের হাউজিং বেনিফিট বাতিলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে লেবার পার্টি।

বিশেষজ্ঞদের মতে বলা হচ্ছে, এ নির্বাচনে ব্রিটেন এবার ঝুলন্ত পার্লামেন্টের দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আভাস দেওয়া হচ্ছে। আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে মে’র ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। এদিকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে টিভি বিতর্কে অংশ নিতে সম্মত হয়েছেন প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন।তবে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেই দিয়েছেন তিনি বিতর্কে থাকবেন না।জেরেমি করবিনও আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন,মে না থাকলে,তিনিও না থাকতে পারেন।বিভিন্ন জরিপ ইঙ্গিত দিচ্ছে, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একটি দলকে যে কয়টি আসন পেতে হয় তার চেয়ে কনজারভেটিভরা ১৬টি আসন কম পেতে পারে। দ্য টাইমস পত্রিকার পক্ষে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ আসন-আসন একটি পূর্বাভাস দিয়েছে। সে হিসাবে কনজারভেটিভরা ৩১০টি আসনে বিজয়ী হতে পারে। কিন্তু একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে এককভাবে সরকার গঠন করতে একটি দলকে পেতে হয় কমপক্ষে ৩২৬টি আসন। ফলে ওই পূর্বাভাষ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র কনজারভেটিভ দল ১৬টি আসন কম পেতে পারে। তাহলে ব্রিটেনে নতুন পার্লামেন্ট হতে পারে ঝুলন্ত।বিরোধী লেবার দলের সাবেক প্রধান এড মিলিব্যান্ড ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভরাডুবির শিকার হন। নতুন পার্লামেন্ট ঝুলন্ত হতে পারে এমন পূর্বাভাস থাকলেও তিনি টুইটারে নতুন করে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। বর্তমানে ব্রিটেনের মধ্য-ডানপন্থী লেবার দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন জেরেমি করবিন। তার দল এ নির্বাচনে আগের চেয়ে ২৮টি আসন বেশি পেতে পারে বলে জরিপে বলা হচ্ছে।যদি তাই হয় তাহলে লেবাররা বিজয়ী হবে ২৫৭ আসনে। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা একটি আসন বেশি পেয়ে বিজয়ী হতে পারে ১০টি আসনে।অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে থাকা স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি চারটি আসন হারাতে পারে।এর মাধ্যমে তারা বিজয়ী হতে পারে ৫০টি আসনে।উল্লেখ্য, এর আগে ২০১০ সালে ব্রিটেনে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট গঠিত হয়েছিল। তখন লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও কনজারভেটিভরা গঠন করেছিল জোট সরকার। এর নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন।

এবার নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দলের জনসমর্থন ছিল শতকরা ২০ ভাগের মতো।কিন্তু তার দল নির্বাচনী মেনিফেস্টো ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে সেই জনসমর্থন আস্তে আস্তে কমছে। গত সপ্তাহে দেখা গেছে,শতকরা মাত্র ছয় ভাগ বেশি সমর্থন বেশি রয়েছে কনজারেভেটিভদের।মঙ্গলবার লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার জন্য জরিপ করেছে আইসিএম।তাতে দেখা গেছে, লেবাররা ক্রমেই জনসমর্থন পাচ্ছে। তা সত্ত্বেও ভালো একটি বিজয় পাবে কনজারভেটিভরা।ব্রিটেনে টেলিভিশনে নির্বাচনী বিতর্কে লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের নেতা টিম ফ্যারন, ইউকিপের পল নাটাল, এসএনপির উপপ্রধান অ্যাংগাস রবার্টসন, গ্রিন পার্টির উপনেতা ক্যারোলিন লুকাস ও প্লেইড সাইমরু দলের নেতা লিয়ান উড বিতর্কে অংশ নেবেন। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী মে না থাকায়, বিতর্কে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রুড। উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী আকস্মিক আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার সময় ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে করবিনের লেবার পার্টির ব্যবধান ছিল ২০ পয়েন্টেরও বেশি! অথচ, এখন তা পাঁচ-ছয় শতাংশের মধ্যে নেমে এসেছে।লেবার পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার মোটামুটি প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক অনেক অনুষ্ঠানে করবিন তুলনামূলক ভালো ফল করে গেছেন। ফলে দলের জনপ্রিয়তাও অনেকখানি বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।লেবার পার্টি থেকে আগে বলা হয়েছিল,থেরেসা মে অংশ না নিলে, করবিনও নেবেন না।তবে এখন করবিন অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।পাশাপাশি, বিতর্কে অংশ না নেওয়ায় থেরেসা মেরও সমালোচনা করেন তিনি।তার ভাষ্য,ক্যামব্রিজে আমার সঙ্গে বিতর্ক করতে রাজি না হওয়াটা হবে প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতার আরেকটি লক্ষণ।সব জল্পনা-কল্পনার অবসান কাটিয়ে কে হচ্ছেন বৃটেনের প্রধান মন্ত্রী এটাই দেখার বিষয়।

এ জাতীয় আরও খবর