এখনো খোঁজ মেলেনি কুতুবদিয়ার অর্ধশতাধিক জেলের

---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় মোরার কবলে পড়ে সাগরে নিখোঁজ হয়েছে কুতুবদিয়ার অর্ধশতাধিক জেলে। বিভিন্নস্থানে খোঁজ-খবর নেয়ার পরও সন্ধান মেলেনি তাদের। ফলে এসব জেলে পরিবারে চলছে আহাজারি। তাদের আহজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে কুতুবদিয়া এলাকার পরিবেশ। অনেকেই পরিবারের একমাত্র সম্বলকে হারিয়ে হতবাক।
সরেজমিনে দেখা যায়, আপনজনের শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন আত্মীয়স্বজন। এলাকাবাসী জানায়, মোসলেম খাঁন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার একটি হাত আগুনে পোঁড়া। খালে-বিলে ছোট ছোট মাছ ধরে চলে তার সংসার। অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের এনাম কোম্পানির এফবি রেজাউল নামক ফিশিং ট্রলারে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন, আর ফেরেননি।
সাগর থেকে ফিরে আসা অন্য মাঝিমাল্লাদের বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানান, সাগরে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সাথে জলোচ্ছ্বাস হলে মোসলেম খাঁন বোটের কলে (নৌকায় মাছ রাখার স্থান) ঢুকে যান। নৌকাটি ডোবার সময় অন্য জেলেরা জীবন বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়লেও মোসলেম খাঁন ওই নৌকায়ই ছিলেন বলে জানান তারা।
মোহাম্মদ ছোটনও একই নৌকায় ছিল বলে জানান তার বাবা সিরাজুল মনির। তিনিও অন্য জেলেদের সাথে সাগরে ঝাঁপ দিয়েছিল।
এদিকে, উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বিবার্তাকে জানান, উপজেলার চারটি মাছ ধরার নৌকা এখনো নিখোঁজ। সেই সাথে নিখোঁজ এসব নৌকার ১৮ জন জেলে। তাদেরকে খুঁজতে উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহরিয়ার চৌধুরী যথেষ্ট সহযোগিতা করলেও অন্যরা আগ্রহবোধ পর্যন্ত করেননি। শেষ পর্যন্ত নৌকার মালিকের সাথে যোগাযোগ করে জেলেদের তথ্য নিয়ে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ-খবর রাখার কথা জানান এ কর্মকর্তা।
তিনি আরো জানান, নিখোঁজ ১৮ জেলের ১৫ জনই উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের। তারা সবাই উত্তর ধুরুং এলাকার মো. ইউনুছের মালিকানধীন ‘এফবি ফাতেমা’, মো. জাফরের মালিকানাধীন ‘দাদা-দাদীর দোয়া’ ও নুরুল কাদেরের মালিকানধীন অজ্ঞাত একটি মাছ ধরার নৌকার মাঝিমাল্লা।