বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ
---
নিউজ ডেস্ক : সাত দশমিক চার শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এতে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের’ শিরোনাম দিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন মুহিত। যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা থেকে ২৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ৩ লাখ ১৭ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা থেকে আগামী বাজেটের আকার বেশি প্রায় ৮৪ হাজার কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘বাজেট কাঠামো প্রস্ত্তুতের ক্ষেত্রে আমরা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলোও বিবেচনায় নিয়েছি। আমার বিশ্বাস প্রস্তাবিত বাজেট কাঠামো, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় সম্পদ সঞ্চালনে সক্ষম হবে।’
মুহিত বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট কাঠামো যেসব অনুমানের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে তা উল্লেখ করতে চাই—
#২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৭.৪ শতাংশ এবং বছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার ৫.৫ শতাংশে নেমে আসবে
#সুদের হার ক্রমহ্রাসমান ধারায় ও নমিনাল বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকবে;
#ভোগ ও বিনিয়োগ ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাবে অভ্যন্তরীণ absorption পূর্বের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে। ফলে, চলতি হিসাবের ভারসাম্যে সামান্য ঘাটতি সৃষ্টি হবে। তবে, মূলধন ও আর্থিক হিসাবে পর্যাপ্ত উদ্বৃত্ত থাকায় সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত থাকবে ;
#কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি সহায়ক মুদ্রা ও ঋণ নীতি অব্যাহত থাকবে; কর-রাজস্ব আয় জিডিপি’র ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। করের পরিধি সম্প্রসারণ এবং নতুন মূল্য সংযোজন কর আইনের বাস্তবায়ন হবে। কর অব্যাহতি ও কর অবকাশ প্রতিশ্রুত বৈদেশিক সাহায্যের অবমুক্তি বৃদ্ধি পাবে;
#বিশ্ব উৎপাদন প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধার অব্যাহত থাকবে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রপ্তানি ও প্রবাস আয় অর্জিত হবে;
#সর্বোপরি জনগণের কর্মোদ্যম এবং কৃষক ও শ্রমিকের কাজের প্রতি আগ্রহ দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্ন হতে দেবে না।’