শনিবার, ৩রা জুন, ২০১৭ ইং ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

নামাজ আদায় করেও নামাজের জন্য শাস্তি ভোগ করবে যারা!

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ১, ২০১৭

---

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : নামাজ আদায় করার পরেও তিন শ্রেণীর মানুষকে আল্লাহর শাস্তি পেতে হবে। প্রথমতঃ যারা অলসতা বা অবহেলা বশতঃ সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করে না।নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয ইবাদত। এ ইবাদত কবুল হওয়ার উপরেই অন্যান্য ইবাদত নির্ভর করে। অথচ অনেকেই নামাজ যথার্থ গুরুত্ব অনুধাবন না করে আদায় করে থাকে। এ ধরনের নামাজ আল্লাহর নিকট কবুল হবে না; বরং এমন নামাজ আদায়কারীর জন্য পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে।

নামাজ আদায় করার পরেও তিন শ্রেণীর মানুষকে আল্লাহর শাস্তি পেতে হবে। প্রথমতঃ যারা অলসতা বা অবহেলা বশতঃ সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করে না।

তাদের নামাজ কবুল হবে না। তাদের জন্য পরকালে শাস্তি রয়েছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, অতঃপর দুর্ভোগ ঐসব মুসল্লীর জন্য, যারা তাদের নামাজ থেকে উদাসীন’ (মাঊন:৪-৫)। দ্বিতীয়তঃ নামাজ আদায় করেও শাস্তি পাবে ঐসব মুসল্লী যারা রাসূল (সা)-এর পদ্ধতিতে নামাজ আদায় না করে নিজেদের মনগড়া পদ্ধতিতে নামাজ আদায় করে।

অথচ রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘তোমরা আমাকে যেভাবে নামাজ আদায় করতে দেখ, ঠিক সেভাবেই নামাজ আদায় কর’।[বুখারি] তৃতীয়তঃ যারা লোক দেখানো নামাজ আদায় করে।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে’ (মাঊন ১০৭/৬)। এটা হচ্ছে মুনাফিকদের নামাজ। যেমন মহান আল্লাহ অপর আয়াতে বলেছেন,‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়, আর তিনিও তাদের ধোঁকায় ফেলেন। যখন ওরা নামাজে দাঁড়ায়, তখন অলসভাবে দাঁড়ায় লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে।

আর তারা আল্লাহকে খুব কম সময় স্মরণ করে’ (নিসা ৪/১৪২)।মূলতঃ লোক দেখানো কোন আমল আল্লাহ কবুল করেন না। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লোককে শুনানোর জন্য কাজ করে, আল্লাহ তাকে দিয়েই তা শুনিয়ে দেন।

আর যে ব্যক্তি লোক দেখানোর জন্য কাজ করে, আল্লাহ তার মাধ্যমে তা দেখিয়ে দেন’। অর্থাৎ আল্লাহ তাকে লজ্জিত করেন এবং স্পষ্ট করে (বুখারি ও মুসলিম) সঠিক সময়ে খালেছ অন্তরে রাসূল (সা)-এর তরীকায় তথা শুদ্ধভাবে নামাজ আদায় করতে হবে।

অন্যথা নামাজ আদায় করেও আল্লাহর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার তাওফীক দান করুন।