নাটকীয় জযে শিরোপার মুকুট মুম্বাইয়ের
---
স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের আগে কৌতূহল ছিল, তিন না এক? তৃতীয়বারের মতো আইপিএলের শিরোপা জিতবে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস নাকি প্রথমবারের মতো ট্রফিটা ছোঁয়ার সৌভাগ্য হবে রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টের? তিন ঘণ্টার উত্তেজনা শেষে উত্তরে কিন্তু মিলল! প্রথমবারের মতো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ জিততে পারল না পুনে সুপার জায়ান্ট। ১ রানের নাটকীয় জয়ে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতল মুম্বাই।
‘যত গর্জে তত বর্ষে না!’ —আইপিএলের শেষ চার ম্যাচকে এক বাক্যে প্রকাশ করলে এভাবেই বলতে হবে। কোয়ালিফায়ার বলুন কিংবা এলিমিনেটর—প্রতিটি ম্যাচই হয়েছে একপেশে। তবে ফাইনালে লড়াইটা হয়েছে বেশ। খেলা হয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত।
ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষেই ভবিষ্যদ্বাণী করে ফেলেছেন অনেকেই, এবারের চ্যাম্পিয়ন স্টিভেন স্মিথ ও মহেন্দ্র সিং ধোনির পুনেই। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকে জয় মুম্বাইয়ের।
প্রথমে মেন হয়েছিল, ম্যাচের গতিপথটা লিখে দিয়েছেন জয়দেব উনাদকার, সেটাও মাত্র ৪ বলের মধ্যে। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে পার্থিব প্যাটেলকে শার্দুল ঠাকুরের ক্যাচ বানালেন। তবে মুম্বাই আসল ধাক্কা খেল চতুর্থ বলে। কাটারে টপ এজ করলেন লেন্ডন সিমন্স। সে বল তালুবন্দী করতে যেন পাখা গজাল উনাদকারের। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে অবিশ্বাস্য এক ছোবলে লুফে নিলেন সিমন্সের ক্যাচ। এমন ক্যাচের ধাক্কা পুরো ইনিংস জুড়েই ভোগাল মুম্বাইকে। ১৫ তম ওভারে ৭৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে এক শর নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জাগিয়েছিল মুম্বাই। ক্রুনাল পান্ডিয়া ও মিচেল জনসনের ৫০ রানের জুটিতেই ১২৯ রানের সম্মানজনক একটা স্কোর গড়ল দুবারের চ্যাম্পিয়নরা।
সম্মানজনক হলে স্কোরটা জয়ের জন্য কার্যকর করেন তোলেন বোলাররা। দলীয় ১৭ রানে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে রাহুল ত্রিপাতি আউট। পরে অধিনায়ক স্মিথ (৫০ বলে ৫১) ও অজিঙ্কা রাহানে (৩৮ বলে ৪৪) ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ প্রায় বের করে ফেলেছিলেন। শেষ ওভারে জনসন তিওয়ারি ও স্মিথকে আউট করে রোহিত শর্মার ট্রফি তুলে দেন। শেষ বলে দরকার ৪, পুনে নিল ২, আর এতে শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতে ওঠেন রোহিত-জনসনরা। সূত্র: সনি সিক্স