বুধবার, ১৭ই মে, ২০১৭ ইং ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

তারানা ও পলকের পদোন্নতির আলোচনা

AmaderBrahmanbaria.COM
মে ১৫, ২০১৭

নিউজ ডেস্ক : মন্ত্রিসভায় রদবদল আসছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই ঘোষণা দেয়ার পর সচিবালয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। নতুন কোনো মুখ যোগ হচ্ছেন কি না, বর্তমান মুখদের মধ্যে কার দপ্তর পরিবর্তন বা পদোন্নতি হচ্ছে-সে নিয়েও চলছে হিসাব নিকাশ। তবে নিশ্চিতভাবে সচিবালয় বা সরকার দলের শীর্ষ নেতারা কিছু বলতে পারছেন না। তারা বলছেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর একান্ত এখতিয়ার। তবে এর ভিড়েও দুই প্রতিমন্ত্রীর পদোন্নতির আলোচনা জোরালো হচ্ছে।

এই দুই প্রতিমন্ত্রী হলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এই দুই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী নেই।

আওয়ামী লীগের টানা দ্বিতীয় মেয়াদে তারানার মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী ছিলেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় ২০১৪ সালের শেষ দিকে তাকে অপসারণ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই মন্ত্রণালয়ে কাউকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

বর্তমান সরকারের আমলে তথ্য প্রযুক্তি অগ্রাধিকার খাতগুলোর একটি। কিন্তু এই মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে কাউকেই দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

নিয়ম অনুযায়ী কোনো মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী না থাকলে সে দায়িত্ব সামলান প্রধানমন্ত্রীই। এই হিসাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এখন প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই ন্যস্ত।

পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী না থাকলেও দুই প্রতিমন্ত্রী তারানা ও পলক বেশ আলোচনায় আছেন শুরু থেকেই। তারা বেশ সক্রিয় এবং গণমাধ্যমেও তাদের কথা আসছে নিয়মিতই। এর মধ্যে দুই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বলার মত কোনো অভিযোগ উঠেনি।

সচিবালয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের জোর আলোচনা রয়েছে যে, বিতর্কহীন ভাবমূর্তি এবং পরিশ্রমের স্বীকৃতি পাচ্ছেন তারানা ও পলক।

গত ৮ মে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে বলেন, ‘কেবিনেটের রিশাফল তো হয়ই, একটা হবে, অনেকদিন তো হয়ে গেছে। সেখানে কারা থাকবেন, কারা থাকবেন না সেটা তো একান্তভাবে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার, এটা আমরা কেউ জানি না।’

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রথম ও সর্বশেষ রদবদল করা হয়েছিল ২০১৫ সালের জুলাইতে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিল দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্থানীয় সরকার থেকে সরিয়ে জনপ্রশাসনের মন্ত্রী করা। একই সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দেয়া হয় আশরাফের এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।

এছাড়া স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানকে পূর্ণ মন্ত্রী করা হয়। নতুন করে মন্ত্রী করা হয় নুরুল ইসলামকে, প্রতিমন্ত্রী করা হয় তারানা হালিম ও নূরুজ্জামান আহমেদকে।

তারানা হালিম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই। আর জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৪ সালে। ঢাকাটাইমস

এ জাতীয় আরও খবর