পাগলাগারদে পাঠানো উচিত সোনুকে, মত রাখি সাওয়ান্তের
বিনোদন ডেস্ক :বিতর্কের সঙ্গে তাঁর যেন বরাবরের সম্পর্ক৷ ইস্যু যাই হোক না কেন, কোনও কিছু নিয়ে মন্তব্য করতে কোনওদিন পিছপা হন না রাখি সাওয়ান্ত৷ নিজ মহিমা বজায় রেখে এবার তিনি মুখ খুললেন আজান বিতর্কে৷ আজানে লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়ে মুখ খোলার অপরাধে সোনু নিগমকে পাগলাগারদে পাঠাতে চান তিনি৷
নিজের ভাইয়ের অভিনয় শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করতে আগ্রা গিয়েছিলেন রাখি৷ সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি৷ সোনুর উদ্দেশ্যে রাখির কটাক্ষ, কলিযুগে লোকজন আজানের আওয়াজ আর মন্দিরের ঘণ্টাকে প্রয়োজনীয় মনে করেন না৷ আর যখন নিজের শোয়ের জন্য সারারাত ধরে গানবাজনা করতে থাকেন তখন কারও অসুবিধা কি হয় না?
রাখি বলেন, “আমি মনে করি না কোনও মন্দির বা গুরুদ্বারে বৈদ্যুতিন যন্ত্রের ব্যবহার এমন কোনও মানুষকে জাগানোর জন্য করেন, যাঁরা সেই ধর্মকে অনুসরণ করেন না৷ আজানের মাধ্যমে দুষ্ট আত্মারা পালিয়ে যায়৷ কে জানে কত দুষ্ট আত্মা সোনু নিগমের অন্দরে রয়েছে?” বলিউড গায়ককে অবিলম্বে পাগলাগারদে পাঠানো উচিত বলে মনে করেন তিনি৷
এপ্রিল মাসে নিজের বাসস্থান সংলগ্ন মসজিদে আজানের শব্দ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন সোনু৷ তিনি অভিযোগ করেছিলেন ভোররাতে বাধ্য হয়ে এই আজানের শব্দে তাঁকে ঘুম থেকে উঠতে হয়৷ কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না করে মসজিদ বা গুরুদ্বারে লাউডস্পিকার বন্ধ করার দাবি তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর এ মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে দেশ জুড়ে৷ মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে গায়ক সোনু নিগমের উপর ফতোয়াও জারি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু ইউনাইটেড কাউন্সিলের সহ-সভাপতি তথা মৌলবি সৈয়দ শাহ আতেফ আলি আল কাদরি৷ হুমকি দিয়েছিলেন, সোনুর মাথা কামিয়ে গলায় একজোড়া ছেড়া জুতোর মালা পরিয়ে গোটা দেশে ঘোরাতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা ইনাম দেবেন।
ইমামের ফতোয়ার যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন সোনু। নিজেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন। তারপর দাবি করেন, তাঁর ঘনিষ্ঠ আলিম ভাইকে যেন ওই ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। সোনুর এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছিলেন বলিউড অভিনেতা অনুপম খের থেকে রিচা চাড্ডারা। উল্টো দিকে ওয়াজিদ খান, মিকা সিংরা এ প্রসঙ্গে সোনুর সমালোচনাই করেছিলেন। পরে সোনু নিজে আবার আজানের ভিডিও তুলে পোস্ট করেছিলেন৷ অবশ্য এরপর আর তা নিয়ে খুব একটা হইচই হয়নি৷ সম্প্রতি সে বিতর্ক ফের উসকে দিলেন রাখি সাওয়ান্ত৷