বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ইউপি সদস্যের অনশন!
---
সাভার প্রতিনিধি : ধামরাই সুয়াপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের এক নারী সদস্য স্বামী-সন্তান রেখে ভালোবাসার টানে একই ইউনিয়নের শিয়ালকোল গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন। গত দুইদিন ধরে তিনি বিয়ের দাবিতে এই অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিয়ের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ওই বাড়িতেই অবস্থান করবেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জানা যায়, ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়নের শিয়ালকোল গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম ওরফে পলাশ মাহমুদের (২৫) সাথে সুয়াপুর ইউনিয়নের সদস্য নাজমিন সুলতানা প্রিয়সীর (২২) এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওই সময় প্রেমিক পলাশের প্রলোভনে স্বামী ও দুই সন্তান রেখে পলাশের সাথে সম্পর্ক শুরু করে নাজনীন, পরে পলাশ তার স্বামী পিন্টু মিয়ার কাছ থেকে সরিয়ে ধামরাই সদরে বাসা ভাড়া করে দেয়।
সেই বাসায় নিয়মিত আসা যাওয়া করত পলাশ, তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক তৈরি হয় বলে জানান অনশনকারী নারী ইউপি সদস্য প্রিয়সী। তিনি সাংবাদিকদের কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, পলাশ আমাকে গত ২০ এপ্রিল ধামরাই পৌর এলাকার কাজী অফিসে গিয়ে ১০ লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে করেছে। আমি তার কথা মতো গত তিন মাস আগে আমার প্রথম স্বামী পিন্টুকে তালাক দিয়েছি, এখন কেন পলাশ ও তার পরিবার আমাকে মেনে নিচ্ছে না।
তিনি অরোও বলেন, যে পর্যন্ত আমাকে তারা মেনে না নিবে সে পর্যন্ত আমি এই বাড়িতেই অবস্থান করব, আর তা না হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া ছাড়া আমার আর কোন উপায় থাকবে না।
পলাশের চাচা চাঁন মিয়া বলেন, আমার ভাতিজা যদি বিয়ে করে থাকে আর যদি সে স্ত্রী হিসেবে প্রিয়সীকে মেনে নেয় তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
এব্যাপারে আব্দুল আলিম পলাশ মুঠোফোনে বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও প্রিয়সীর সাথে তার সর্ম্পক ও ধামরাই বাসায় যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
এই ঘটনায় ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম দিপু বলেন, এই ঘটনার এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিডি-প্রতিদিন