ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধানের মোকামে নেই আমদানি ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে
তৌহিদুর রহমান নিটল , ব্রাহ্মণবাড়িয়া : প্রতি বছর হাওর এলাকার ধানেই জমজমাট থাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ধানের মোকাম। চলতি বোরো মৌসুমে দেশের বৃহত্তম এই মোকামে কমে গেছে ধানের আমদানি। অন্যান্য বছর এ সময় প্রতিদিন এখানে ৫০/৬০ হাজার মন ধান ক্রয়-বিক্রয় হলেও এখন তা কমে দাড়িয়েছে ১০/১৫ হাজার মনে। যে সব কৃষক ধান নিয়ে মোকামে এসেছে তাদের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ। কৃষকরা জানিয়েছে মোকামে নিয়ে আসা ধান বিক্রি করে ফসল কাটাতে যে খরচ হয়েছে তাও উঠবে না। অপরদিকে ধানের অভাবে চালকলগুলোর উৎপাদন বিঘিœত হবার আশংকা রয়েছে
ব্রাক্ষনবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম ধানের মোকাম। কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকরা নৌকা দিয়ে এ মোকামে প্রতিদিনই নিয়ে আসে নতুন ধান। আর এসব ধান স্থানীয় ৪শতাধিক রাইছ মিলে প্রক্রিয়াজাত করে চাউলে রূপান্তর করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও নৌ পথে সরবরাহ করে এসব এলাকার চাউলের চাহিদা পুরণ করা হয়। পাহাড়ি ঢল ও আকষ্মিক বন্যায় বোরো উপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখানে নতুন ধানের আমদানি অনেক কমে গেছে। যেসব ধান আশুগঞ্জে আসছে তা প্রকারভেদে ৫০০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোকামে ধান কম আসায় খেটে খাওয়া শ্রমিকরাও বিপাকে পড়েছে। কৃষকরা বলছে উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না তারা। প্রয়োজনীয় ধানের অভাবে হুমকীতে রয়েছে এখানকার চাতাল কলগুলো।আশুগঞ্জ চাতাল কল মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন হাওর এলাকার ধান দিয়েই চালকলগুলো চলত। আকষ্মীক বন্যায় ধান নষ্ট হওয়াতে ধানের অভাবে চালকলগুলো সুষ্টুভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। আগামীতে মিলগুলো চলবে কি না তা সন্দেহ রয়েছে। সরকার ধানের যে মূল্য নির্ধারন করেছে তাতে কৃষকের পোশাবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কাউসার সজীব বলেন পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় খাদ্য ঘাটতির কোন সমস্যা নেই। ধান সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সরকার সিদ্ধ চালের মূল্য নির্ধারণ করেছে ৩৪ টাকা এবং আতপ চালের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ৩৩ টাকা। সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হলেই ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে। কারো কোন সমস্যা হবেনা।