অনুপ্রেরণা পেতে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করেন মমতা
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, তাঁর জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতিতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন নিত্য সঙ্গী। সুখের দিনেই হোক কিংবা সঙ্কটের মুহূর্তে-সান্ত্বনা বা অনুপ্রেরণা পেতে তিনি সব সময় রবি ঠাকুরকে স্মরণ করতেন।
মঙ্গলবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান উপলক্ষে কলকাতার ক্যাথিড্রাল রোড মঞ্চে উপস্থিত থেকে মমতা এসব কথা বলেন।
মমতা এদিন বলেন, ‘যদি কেউ আমায় ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, যখন কেউ চমকায় তখন কবিগুরুর ‘চিত্ত যেথা ভয় শূণ্য, উচ্চ যেথা শির’ এই গানটা মনে পড়ে যায়। একবারও ভাবতে হয় না, আপনা আপনি মনে পড়ে যায়।
‘আমার যখন বড় একাকীত্ব লাগে, কেউ সঙ্গ দেয় না, তখন আমার মনে পড়ে যায় ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে’-এই গানটা’।
‘যখন দেখি ঝড় আসছে তুফান আসছে তখন মনে হয় ‘ঝড়কে আমি করবো মিতে ডোরবো না তার ভ্রুকুটিতে’। যখন দেখি কষ্ট হচ্ছে, মনে পড়ে যায় ‘মনে কি দ্বিধা রেখে গেলে তুমি’। আবার যখন খুব আনন্দ হয়, তখন আমরা গেয়ে উঠি ‘হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে ময়ূরের মতো নাচেরে’ অথবা ‘ঝড়ো ঝড়ো বহিছে বারিধারা’।
মমতা ব্যানার্জি জানান, ‘কোথায় নেই তিনি? যখন বিষন্নতা গ্রাস করে তখনও রবি ঠাকুরকে মনে করি। ‘শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু হে প্রিয়’ অথবা ‘জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণ ধারায় এসো’।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিমত রবীন্দ্রনাথ ছাড়া তাঁর জীবন অর্থহীন। রবি ঠাকুর শুধু বাঙালীর নয়, সবার। তিনি বিশ্ব কবি, আমাদের প্রাণের কবি। আমরা যতদিন বাঁচবো এই নামটি আমাদের হৃদয়ে রক্ত দিয়ে লেখা থাকবে’।
পশ্চিমবঙ্গ তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পক্ষ থেকে এদিনের কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী স্বাগতালক্ষী দাশগুপ্ত, শিবাজী চট্টোপাধ্যায়, অরুন্ধতী রায় চৌধুরী, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, কবি সুবোধ সরকার, জয় গোস্বামী, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদ প্রমুখ।