বাঞ্ছারামপুরের শাহআলম ২০ শতকে বেগুন চাষ করে এখন লাখপতি
ফয়সল আহমেদ খান , বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাতবিলা গ্রামের মো.শাহ আলম মিয়া মাত্র ২০ শতক জমিতে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় ও নিজের শ্রমের বিনিময়ে বেগুন চাষ কওে লাখ পতি বনে গেছেন।বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.জামাল হোসেন জানান পুরো উপজেলার হিসেবে উপজেলায় বেগুন চাষ করা হয় প্রায় ২শত হেক্টর জমিতে। অন্যান্য সবজির চাষের পাশাপাশি বেগুন চাষ করে ধুরং ও হালদা খালের পাড়ের চরে স’ানীয় কৃষকরা শীতের মৌসুমে বিভিন্ন সবজি চাষ করে থাকে। এবার অন্য সবজির পাশাপাশি কিছু কৃষক বেগুন চাষ করে তাদের উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে এক মৌসুমে লক্ষ টাকা আয় করেছে। এই মৌসুমে বেগুন চাষ করে লাখপতি হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বেগুন চাষে ঝুঁকে পড়ছে অনেকে।
এদিকে,সরেজমিনে ছলিমাবাদেও শাহ আলম জানায়, আমি আমার নিজের ২০ শতক ভূমিতে বেগুন চাষ করে প্রথম দুই দফা বিক্রি করে আমার উৎপাদন খরচ উঠে যায়।এরপর,বর্তমানে বর্ষাকাল বিধায় বেগুনের দাম বেশী।তাই আমার জমিতে থাকা বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজি দওে বিক্রি করতে পারছি।
আমার বেগুনে বিশেষ যত্ন নেয়ায় কোন পোকা না ধরায় প্রতিটি বেগুনই খাবার যোগ্য।বর্তমানে জমির খরচ উঠে গেছে পরবর্তীতে বাকি বেগুন বিক্রি করে আমার সংসারে খরচ বাদ দিয়ে ১ লক্ষ টাকা আয় হয়। এই আয়ের ফলে আমার পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।
এই এলাকার বেগুন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাঞ্ছারামপুর হোমনাসহ পাশের উপজেলা গুলোর চাহিদা মেটাচ্ছে। ছলিমাবাদের বাসিন্দা ও দৈনিক ইত্তেফাকের বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি ও প্রেসেক্লাব সভাপতি এমএ আউয়াল বলেন, প্রতিদিন ভোর সকালে কৃষকরা জমি থেকে বেগুন নিয়ে বাজারে সারি বদ্ধ ভাবে ভিড় জমায়।চাষীরা ধানের চেয়ে বেগুনে লাভ বেশী দেখে এখন বেগুনের দিকে ঝুকে পড়েছে। উপজেলার মওলাগঞ্জ বাজারে পাইকারি হাটে নিয়ে যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এই এলাকায় অন্য সবজির পাশাপাশি বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে।