বৃহস্পতিবার, ৪ঠা মে, ২০১৭ ইং ২১শে বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর কোল থেকে হঠাৎ বেঁচে ফেরার অনুভূতি ইরফান পাঠানের

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ২৮, ২০১৭

স্পোর্টস ডেস্ক : ডোয়েন ব্র্যাভো চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় ইরফান পাঠানের ভাগ্য খুলে যায়। এ বারের আইপিএল-এর বাকি ম্যাচগুলোয় গুজরাত লায়ন্স-এর জার্সি পরে খেলতে নামতেই পারেন পাঠান।

এক সময়ে দেশের সেরা প্রতিভা ছিলেন ইরফান। রামধনুর মতো তাঁর বাঁকানো সুইং সামলাতে পারতেন না বিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। গ্রেগ চ্যাপেল কোচ হয়ে আসার পরে পাঠানকে ওপেনার বানিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ। ধীরে ধীরে পাঠানের বোলিং ক্ষমতায় মরচে ধরতে শুরু করে। শেষে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। নিন্দুকেরা বলে থাকেন, চ্যাপেল নষ্ট করেন পাঠানকে। যদিও ইরফান তা মানতে নারাজ। তিনি এখন সামনের দিকেই তাকাচ্ছেন।

আইপিএল-এর আগে ছেলে ইমরানের সঙ্গে খেলতেন। তাতে সময়টা ভালই কাটত। কিন্তু মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তির উপায় কী? আইপিএল-এর নিলামে কোনও দলই ইরফান পাঠানকে নিয়ে উৎসাহ দেখায়নি। হঠাৎই পরিস্থিতি বদলে যায়। ব্র্যাভোর পরিবর্ত হিসেবে গুজরাত লায়ন্স পাঠানকেই সই করায়।

সাংবাদিক বৈঠকে ইরফান নিজের অনুভূতির কথা বলেছেন, ‘মৃত্যুর কোল থেকে যেন আমি ফিরে এলাম। দল না-পেলে সবারই খুব খারাপ লাগে। আমার কাছেও বিষয়টা হতাশাজনকই ছিল। টুর্নামেন্টের শেষের দিকে হোক বা মাঝামাঝি, দল পেলে সবারই ভাল লাগে। আমারও ভাল লাগছে। আশা করি এ বার আমি খেলার সুযোগ পাব।’

গতবার ইরফান ছিলেন রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্ট দলে। চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন। একটিও উইকেট পাননি বল হাতে। মাত্র ১১ রান করেছিলেন বাঁ হাতি পাঠান। তার উপর একটা ম্যাচে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন তিনি। সবার সামনেই ধোনি পাঠানের উপরে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন সেই ম্যাচে।

২০১৫ সালে চেন্নাই সুপার কিংগসের হয়ে খেললেও একটি ম্যাচেও নামেননি। ২০১৪ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-এর হয়ে দশটি ম্যাচে নেমে চারটি উইকেট দখল করেন পাঠান। ব্যাট হাতে ৫৫ রান করেছিলেন। ইরফান অবশ্য অতীত নিয়ে আর ভাবতে বসছেন না। বাকি ম্যাচগুলোকেই তিনি পাখির চোখ করছেন।