শেষ পর্যন্ত কে জিতবেন?
বিনোদন ডেস্ক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে প্রচারে নামা ও প্যানেল ঘোষণা করেছেন প্রার্থীরা। আগামী ৫ মে শিল্পী সমিতির পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শিল্পী সিমিতির আসন্ন নির্বাচনে লড়ছে তিনটি প্যানেল। একটিতে সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন জায়েদ খান। আরেকটি প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী ওমর সানি, সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন ফেরদৌস। আর অন্যটিতে রয়েছেন ড্যানি সিডাক সভাপ্তি পদে ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরা।
আগামী ৫ মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ড্যানি অনেকগুলো ইস্তেহার দিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে, শুধু শিল্পীদের জন্য তৈরি করবেন শিল্পী পল্লী, চিকিৎসার অভাবে কোনো শিল্পী মারা যাবে না, তার ব্যবস্থা করবেন। শিল্পীদের ছেলেমেয়েদের অভাবের কারণে পড়াশোনা বন্ধ হবে না, শিল্পীদের নামের সাথে দুঃস্থ শব্দটি ঘুচিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্যানেলে সহ সভাপতি পদে দাঁড়িয়েছেন অমৃতা খান।
মিশা-জায়েদ খান প্যানেলের পক্ষ থেকে জায়েদ খান দীর্ঘদিন ধরেই ‘আমরা নীতিগত ভাবে এক’ শ্লোগান নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।এই প্যানেলে অনেক আলোকজ্জ্বল মুখ রয়েছে। অভিনেতা রিয়াজ, পূর্ণিমা রয়েছেন। এছাড়াও বর্তমান সময়ের দুই ব্যস্ত তারকা নিরব ও সাইমন রয়েছেন। নীতিগতভাবে এক থেকেই মিশা-জায়েদরা জয় ছিনিয়ে আনতে চান। তরুণ-নবীনদের মাঝে জায়েদ খান প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন।
ওমর সানী-ফেরদৌস
ওমর সানী শাকিব খান কমিটির নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন। এবার শাকিব নির্বাচন করছেন না। ওমর সানী দীর্ঘদিন মিডিয়া আলোর বাইরে থাকলেও গত নির্বাচনে জয়ী হয়ে সবসময় শিল্পীদের পাশে থাকতে দেখা গেছে। যে কোনো দুর্ঘটনা, সমস্যায় শাকিব খানকে না দেখা গেলেও উপস্থিত হয়েছেন ওমর সানী,। এদিক থেকে ওমর সানীর একটা ক্লিন ইমেজ রয়েছে। যার জন্য ইস্তেহার দরকার হয় না।
তবে ব্যাক্তিগত ইমেজে হয়তো অনেকেই উৎরে যাবেন। কিন্তু প্যানেল অনুযায়ী জয়ের পাল্লাটা কার দিকে ভারী হয়ে আছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কালের কণ্ঠ