কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলার বিচার শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উপ-পরিচালক সিতাংশু শেখর বিশ্বাসের স্ত্রী কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী বিশ্বাস হত্যা মামলার একমাত্র আসামি কে এম জহিরুল ইসলামের বিচার শুরু হয়েছে।
২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের জমা দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ আদেশ দেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিন।
অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় জহিরুলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান বলে জানান মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শেখ বাহারুল। তবে, মারুফ হায়দার নামের এক আসামিকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ রাতে কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী সিতাংশু শেখর বিশ্বাসকে কেক ও ফুল নিয়ে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে তার মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বাসায় যান সিতাংশুর পূর্বপরিচিত কে এম জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
জহিরুল একপর্যায়ে সিতাংশু (৪৮), কৃষ্ণা কাবেরী (৩৫) ও দুই মেয়ে শ্রোভনা বিশ্বাস (১৫) ও অদিতিয়া বিশ্বাসকে (৮) হাতুড়িপেটা করে বাসায় আগুন ধরিয়ে দেন। ওই ঘটনায় আহত ও অগ্নিদগ্ধ কৃষ্ণা কাবেরী পরে মারা যান।
হামলার কারণ সম্পর্কে সিতাংশু বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, হামলাকারী জহিরুল গুলশানে হাজী আহাম্মেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটির ব্যবস্থাপক। ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ রয়েছে সিতাংশুর। এ টাকা হাতিয়ে নিতেই হামলা করা হয়।
কৃষ্ণা কাবেরী আদাবরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে আসামি জহিরুল হক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।