বৈশাখী উৎসব বাঙ্গালির প্রেরণার উৎস-সৈয়দ আবুল মকসুদ
দেশের বরেণ্য লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, বৈশাখী উৎসব বাঙ্গালির প্রেরণার উৎস, যা বাঙ্গালি জাতিসত্বার বিকাশে অনন্য ভ’মিকা পালন করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য একাডেমির ৩১ তম বৈশাখী উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতিক ইতিহাস ঐতিহ্যের এক অনন্য স্মারক। এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠার সময় থেকে আমি সম্পৃক্ত এবং এর আজীবন সদস্য হিসেবে গর্বিত। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান কবি মারুফুল ইসলাম এক অনন্য প্রতিভা, এই কবির রচনার বহুমাত্রিক গুণ রয়েছে। নান্দনিক শৈলীতে কবি তাঁর কাব্যভাবনাকে প্রস্ফুটিত করছেন। তিনি বলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে বিস্তৃত করতে সাহিত্য সংস্কৃতিসেবীদের দায়িত্ব বেশী। তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
সাহিত্য একাডেমি আয়োজিত শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা চত্বরে ৮ দিন ব্যাপী বৈশাখী উৎসবের পঞ্চম দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
চতুর্থদিনে উৎসবে “কবি মারুফুল ইসলাম ও তাঁর কবিতা” বিষয়ে আলোচনা হয়। অনূভ’তি প্রকাশ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান কবি মারুফুল ইসলাম। অনুভ’ূতি প্রকাশ কালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণ করেন এবং সাহিত্য একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রসংশা করেন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেনএর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন সনাক সদস্য জেসমিন খানম, দৈনিক সমতটবার্তার সম্পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মনজুরুল আলম, পরিচালক মানবর্দ্ধন পাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির নির্বাহী সদস্য নেলী আক্তার,শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী স্বপন।
কবি মারুফুল ইসলামের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী জামিল ফোরকান, আল আমীন শাহীন, ,অর্ধেন্দু শর্মা, জেসমিন জাহান,তাসলিমা আক্তার রোমা,রিপন দেবনাথসাইফুল ইসলাম। পঞ্চম দিনের সূচনা পর্বে জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলিন পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংসআকবৃতিক অনুষ্ঠান এবং শেষে সাহিত্য একাডেমির পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।