‘সিটিং সার্ভিস বন্ধ না হলে কঠোর ব্যবস্থা’
নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ১৫ তারিখ থেকে ঢাকা শহরে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কৌশল বন্ধ করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বন্ধ করা সিটিং সার্ভিসের পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে হেলমেটবিহীন মটরসাইকেল আরোহী, মিটারবিহীন সিএনজি অটোরিকশাসহ অনুনোমদিত এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ’র চলমান মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যানবাহনের ভাড়া যেটা আছে সেটাই থাকবে, কিন্তু ভাড়াটা যাতে অতিরিক্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। আমাদের মালিকদের সাথে কথা হয়েছে, তারাও এ বিষয়ে পজেটিভ কথা বলেছেন। তারাও এর বাস্তবায়ন চায়। তারা চায় সিটিং, গেটলক এসব বিষয়গুলো যাতে না থাকে। এগুলো করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের একটি ফন্দি। এটার পুনরাবৃত্তি হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলমান মোবাইল কোর্ট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা যদি মোবাইল কোর্ট না বসাই তাহলেতো পুরা অরাজকতা অবস্থার সৃষ্টি হবে, নৈরাজ্য চলবে। সেটার তো অন্তঃত ভয়-ভীতিটা আছে। যে কারণে বিষটা একটু পজেটিভলি দেখবেন।
নতুন সড়ক পরিবহন আইনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এ আইনটি করেছি জনস্বার্থে। এটি পার্লামেন্টে যাবে এবং কোন ফাক ফোকর থাকলে বা শোধন করার বিষয় থাকলে আমরা অবশ্যই সংশোধন করবো। কোথাও যদি আরো কঠোর হওয়ার দরকার হয় সেই বিষয়টিও আমরা দেখবো। কাজেই এটা পর্যালোচনা হচ্ছে, এর পরে এটা চূড়ান্ত অনুমোদন হবে।
তিনি বলেন, কেবিনেটে কিন্তু মাত্র নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এর পর আইন মন্ত্রণালয়ে বেটিং হচ্ছে। এই বেটিংয়েও অনেক কিছু আসবে। এখানে সংশোধনী প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হবে। তারপর স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাবে। সেখানে বিবেচনা করে তারপর পার্লামেন্টে গিয়ে উত্থাপিত হবে এবং পাশ হবে।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইনে সকল বিষয় রাখা হয়েছে এবং প্রত্যেকটি বিষয়ে সরকারের কটোর অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। কঠোর শাস্তির বিধান সম্বলিত আইন পাশ হবে।