স্পিন্টারই কর্নেল আজাদের প্রাণ নিল
---
এক ইঞ্চি বাই আধ ইঞ্চি, চারকোণাকৃতির স্পিন্টারই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আমাদের সময় ডটকমের প্রশ্নে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এ তথ্য জানান।
তার ভাষ্যমতে- স্পিøন্টার কর্নেল আজাদের বাম চোখ দিয়ে ঢুকে ব্রেইনে চলে যায়। ময়নাতদন্ত করার সময় তার ব্রেইন থেকে স্পিøন্টার উদ্ধার করা হয়। এ স্পিøন্টার আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তার শরীরের অন্যান্য অংশে তেমন আঘাতের চিহ্ন নেই বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার সকাল ৮টার কিছুক্ষণ আগে ঢামেক হাসপাতালে পৌঁছায় আজাদের মরদেহ। সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ১০টার দিকে আজাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহে র্যাব নিয়ে যায়। ৩০ মার্চ দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্নেল আজাদের মৃত্যু হয়।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সময় গত ২৫ মার্চ রাতে একটি বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন আবুল কালাম আজাদ। এর পাঁচদিন পর তার মৃত্যু হলো। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো সাতে।
ঘটনার পরপর দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৬ জন নিহত হন। সে সময় আহত হন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদসহ আহত হন ৪২।
পরে আহত আজাদকে সিলেটের এম এজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাতেই তার মাথায় বেশ কয়েকটি সার্জারি হয়। এরপর হেলিকপ্টারে যোগে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি না হলে গত ২৬ মার্চ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ২৯ মার্চ আবুল কালাম আজাদকে লাইফ সাপোর্টে রাখা অবস্থাতেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়।