সরাইলে দুই দফা ঝড়ে আহত অর্ধশতাধিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ
---
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : সরাইলে দুইদফা ঝড়ে বসত ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইটভাটায় শ্রমিকদের আশ্রয়স্থল বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। নদীতে ডুবে গেছে মালবাহী নৌকা। গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে গেছে। এতে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক লোক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝড়ের কারনে গোটা উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল একেবারেই নগন্য। ভোর থেকেই সমগ্র উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কখন চালু হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। সরজমিনে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার ভোর ৫টায় ও সকাল ৯টায় সরাইলে দুইদফা আঘাত হানে প্রচন্ড ঝড়। সেই সাথে মোষলধারে বৃষ্টি। ঝড়ের তান্ডবে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বাসিন্ধারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ঘর চাপায় আহত হয় চুন্টা ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামের কৃষক সরফত আলী (৩৫), তার ২ মেয়ে বুশরা আক্তার (০৬) ও সমলা বেগম (৩৭)। ধর্মতীর্থ এলাকার আজম ব্রিকস মিলের শ্রমিকদের বসতঘর উড়িয়ে নিয়ে যায়। আহত হয় অন্তত ৩০ জন শ্রমিক। অহিদ মিয়া (৬০) ও লতিফ মিয়া (৬৫) কে সরাইল মনোয়ারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোহাগ মিয়া (৩৮) ও মামুন মিয়া (৩০) নামের ২ শ্রমিককে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে মেঘনা নদীতে পানিশ্বর এলাকায় ৪টন ধানসহ একটি নৌকা ডুবে গেছে। আহত হয়েছে নৌকার ৪ শ্রমিক। নোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের টিনশেড একটি ঘর ভেঙ্গে পড়ে গেছে। অরুয়াইল পাকশিমুল ইউনিয়নে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া গোটা উপজেলায় সহ¯্রাধিক গাছ উপড়ে গেছে। ভেঙ্গে গেছে বিদ্যুতের ২০-২৫টি খুঁটি। ভোর ৫টায় বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ওদিকে ঝড়ের কারনে উপজেলার সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। শাহবাজপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৮৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত হয় মাত্র ৮’শ জন। সকাল সাড়ে ১০টায় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের মাঠে ও বারান্দায় ঘুরছে। সকাল ১১টায় পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা হাজির থাকলেও ছিল না কোন শিক্ষার্থী। সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরন) সুব্রত রায় বলেন, ঝড়ের কারনে বন্ধ বিদ্যুতের সরবরাহ কবে চালু করা যাবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ইসরাত বলেন, প্রচন্ড ঝড়ে তো কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে পরিমাণটা পিআইও আসলে জানা যাবে।