১৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কলকাতার বড়বাজারের আগুন
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আগুন লাগার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার বড়বাজারের আগুন। গতকাল সোমবার রাতে একটি বহুতলে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে ওই ভবনের তিনতলার ছাদ ও কাঠের সিঁড়ি। যেকোন সময়ে ভেঙে পড়তে পারে গোটা বাড়িটি। সারা রাত ধরে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়েছে দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন। দমকলকর্মীদের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও।
সোমবার রাত ৯টা নাগাদ বড় বাজার এলাকার ওই অংশের কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চার দিক৷ আতঙ্কে মানুষ ভিড় জমান রাস্তায়৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুড়ে যাওয়া ভবনটির একাংশ রাতেই ভেঙে পড়ে৷ সেই সঙ্গে একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আশপাশের বাড়িগুলোতে কেউ আটকে নেই৷ চার তলা বাড়িটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় প্লাস্টিক, ব্যাগ, জড়ি, কাপড়ের গুদাম ও কারখানা৷ তৃতীয় তলায় পাঁচটি পরিবারে প্রায় ৩০ জনের মতো মানুষের বাস৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত নয়টা নাগাদ একটা কিছু বিষ্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়৷ তার পরেই দেখা যায় দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে৷ নিমেষে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশ৷ এলাকাবাসীর বক্তব্য, বাড়িটির ভিতরে দুইটি কাঠের সিঁড়ি ছিল৷ আগুনে একটি সিঁড়ি জ্বলতে শুরু করে৷
দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত পানির অভাবে আগুনের মোকাবিলা করতে সমস্যা হয়৷ বাড়িটির ভেতর থেকে আগুন নেভানো কার্যত অসম্ভব বুঝে বাইরে থেকে কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা৷ বড়বাজার থানার পিছনের ওই সরু এলাকায় কাজ করতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হয় বলে জানান দমকলকর্মীরা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অগ্নিকাণ্ডের খোঁজখবর রাখছেন। দাহ্য পদার্থে ঠাসা ওই বহুতলে আগুন নিয়ন্ত্রণ ক্রমশ কঠিন হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। আশেপাশের কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷