বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাইলেন খাদিজা
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় আড়াই মাসেরও বেশি সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পূণর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপিতে) চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন খাদিজা আক্তার নার্গিস। বিমানযোগে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদিজা বলেন, ‘আমার ওপর হামলাকারী বদরুলের কঠিন শাস্তি চাই। আমি আদালতে যাব।’
আগামী রবিবার খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এর আগেও সাক্ষ্য দেয়ার কথা থাকলেও চিকিৎসকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি খাদিজা।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সিআরপিতে চিকিৎসা শেষে খাদিজাকে পরিবারের হাতে তুলে দেন চিকিৎসক ডা. সাঈদ উদ্দিন হেলালসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
খাদিজার চিকিৎসক ডা. সাঈদ উদ্দিন হেলাল জানান, খাদিজা এখন সিআরপির চিকিৎসা সেবা নিয়ে পুরোপুরি সুস্থ। বাড়িতে চলে গিয়ে তিনি আবারও পড়াশুনা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য,সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা গত বছরের ৩ অক্টোবর বিকেলে এমসি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে বিএ (পাস) পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় হামলার শিকার হন। তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। ঘটনার পর জনতা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে দেয়।
সংকটাপন্ন অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর খাদিজার অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৮ নভেম্বর তাকে সিআরপিতে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গত ১ ফেব্রুয়ারি এক সপ্তাহের জন্য বাড়ি গিয়েছিলেন খাদিজা।
খাদিজার ওপর হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলাটি সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বদরুল এই মামলার একমাত্র আসামি।