শুক্রবার, ২৩শে জুন, ২০১৭ ইং ৯ই আষাঢ়, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

এপ্রিলে চালু হচ্ছে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭

---

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই শেষ হচ্ছে মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন ফ্লাইওভার। র‌্যাম ও লুপ ছাড়াই আগামী এপ্রিলে চালু হচ্ছে ফ্লাইওভারটি। ইতিমধ্যে দামপাড়া ওয়াসা মোড় অংশে চলছে গার্ডার বসানোর কাজ। আর এ অংশের কাজ শেষ হলেই শুরু হবে লালখান বাজার ও মুরাদপুর অংশে ফ্লাইওভার নেমে যাওয়ার কাজ।

উল্লেখ্য, ৪৫৭ কোটি টাকায় মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৫৪ ফুট চওড়া ফ্লাইওভারটি মুরাদপুর এন মোহাম্মদ কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে উঠে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের পশ্চিম গেটের সামনে এসে নামবে। ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-রেনিকিন জেবি।

আখতারুজ্জামান চৌধুরী নামে এ ফ্লাইওভারের কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম বলেন, ‘আগামী জুনে এ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করার টার্গেট থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই এপ্রিলে তা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে পারে। ইতিমধ্যে ফ্লাইওভারের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে।’

জিইসি মোড়ে র‌্যাম ও ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় লুপের কাজ কখন শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফ্লাইওভার চালু হওয়ার পর যানজট কমে আসবে; তখন নিচের অংশের কাজ শুরু হবে। এছাড়া ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় লুপ নির্মাণের কাজ চলছে।’

আবদুস ছালাম আরো বলেন, ‘ফ্লাইওভারকে কার্যকর করতে শাহ আমানত সেতু থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত সড়ক ছয় লেনে, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার, বহদ্দারহাট মোড়ে ফ্লাইওভারের লুপ তৈরি, মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পগুলোর একটি অসম্পূর্ণ থাকলে সব প্রকল্পগুলোর শতভাগ সুফল পাওয়া যাবে না। সে জন্য সবগুলো প্রকল্প শেষ হতে হবে।’

অগ্রগতি প্রসঙ্গে প্রকল্পটির পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তা চায়না উৎসবের কারণে সেখানে অবস্থান করছেন। শিগগির তারা ফিরে এসে চলতি মাসের মধ্যেই অসমাপ্ত গার্ডারগুলো বসানোর কাজ শেষ করবে। তার পরপরই চলবে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করার জন্য কার্পেটিংয়ের কাজ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এপ্রিলে গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে ফ্লাইওভারটি।’

ফ্লাইওভার যে অংশে নামবে সেখানে মাটি ভরাটের কাজ হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কদমতলী, দেওয়ানহাট কিংবা বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের মতো ফ্লাইওভার নেমে যাওয়ার অংশটিতে দেয়াল দেয়া হবে না। পিলারের উপর থেকে ফ্লাইওভারটি নেমে আসবে। এতে রাস্তার দুই পাশে তা দেখা যাবে।

মাঝখানে এই ফ্লাইওভারটি টানা বিমান বন্দর পর্যন্ত যাবে কি যাবে না তা নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল অনেকদিন। তখন দফায় দফায় বেঠক করে সর্বশেষ গত অক্টোবরে তা ওয়াসা মোড়ের পর নেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আওতায় লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পৃথক প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের জিইসি মোড়ে চারটি র‌্যাম হবে। ওয়াসা থেকে জিইসি মোড়ের দিকের গাড়িগুলো জিইসি কনভেনশনের সামনে এবং মুরাদপুরের দিকে যাওয়া গাড়িগুলো ইফকো কমপ্লেক্সের সামনে থেকে ফ্লাইওভারে উঠার সুযোগ পাবে। এছাড়া মুরাদপুর থেকে জিইসি মোড়ের দিকে আসা গাড়িগুলো মেরিডিয়ানের সামনে নামার সুযোগ পাবে এবং ওয়াসার দিকে যাওয়া গাড়িগুলো ব্লুসম গার্ডেনের সামনে থেকে উঠতে পারবে।

এছাড়া ষোলশহর দুই নম্বর গেটে বায়েজীদ বোস্তামী রোডের দিকে দুটি লুপ থাকবে। একটি লুপ দিয়ে গাড়ি যেতে পারবে এবং অপরটি দিয়ে গাড়ি আসতে পারবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরীর যানজট অনেকাংশে কমে আসতে পারে।