বাংলাদেশের ওপর ক্ষুব্ধ রবি শাস্ত্রী
স্পোর্টস ডেস্ক :এতোদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘তিন মোড়ল তত্ত্ব’ ছিল। তবে এবার সেটি বন্ধ হতে চলেছে। এই নীতি পাসের পর থেকেই আইসিসির আয়ের অধিকাংশই তিন ‘মোড়ল’ দেশ ভারত, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ভাগে চলে যেতো। এদিক থেকে সবথেকে বেশি লাভবান হতো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কারণ অন্য দেশের থেকে তারাই সবথেকে আয়ের ভাগ পেতো।
তবে সেই নীতি থেকে ইতিমধ্যে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আইসিসির সর্বশেষ সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে এখন থেকে টেস্ট খেলুড়ে সকল দেশই সমান লভ্যাংশ পাবে। পাশাপাশি সব দেশই সমান টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে।
এর আগে আইসিসি থেকে আয়ের শতকরা ২৭ ভাগ লভ্যাংশ পেত ভারত। কিন্তু নতুন নিয়ম চালু করলে নিশ্চিতভাবেই ক্ষতির মুখে পড়বে তারা। এই কারণে এবার ভারতের সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সকলেই সরব হয়েছেন নতুন নীতির বিরুদ্ধে। তবে আইসিসির এই প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান করেছে শুধুমাত্র ভারত এবং শ্রীলঙ্কা। আর বাংলাদেশসহ বাকি সব দেশই এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী। ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সাবেক এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ছাড়া আর কোনো দেশ ভারতের পাশে দাঁড়াল না দেখে আমি বিস্মিত। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের কথা না হয় ছেড়ে দিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ কী করে ভারতের বিরুদ্ধে গেল? ওদের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত অগ্রগতিটাই তো ভারতের হাত ধরে। কতবার তাদের (বাংলাদেশের) অনুরোধে আমরা দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে এসেছি। একই কাজ করল জিম্বাবুয়েও। এই সেদিনও ভারতীয় দল গিয়ে ওয়ানডে খেলে এলো ওদের দেশে।’
রবি শাস্ত্রীর মতে নতুন কাঠামো অনুযায়ী ক্রিকেটকে পরিচালিত করা হলে ক্ষতির মুখে পড়বে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। তিনি বলেন, ‘আইসিসি বলছে, সব দেশ নাকি সমান লভ্যাংশ পাবে। আইসিসির ঘরে ৮০ শতাংশ টাকা ঢুকছে ভারতীয় ক্রিকেটের দয়ায়। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ভারতীয় ক্রিকেট হলো সোনার ডিম পাড়তে থাকা রাজহাঁস। ওই সোনার ডিম দিয়েই কোষাগার ভরছে আইসিসি। আর সেটাকেই কি না তোমরা কাটতে আসছ! আর সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে। কী আবদার!
ক্ষোভের সাথে শাস্ত্রী বলেন, জিম্বাবুয়ে যা টাকা পাবে, ভারতেকেও তাই নিতে হবে। ওহে আইসিসি, রাজহাঁস কেটে ফেললে তোমাদের সোনার ডিমও যে বন্ধ হয়ে যাবে, সেটা ভেবে দেখেছ? তখন তো ক্রিকেটবিশ্বই আক্রান্ত হবে।