মঙ্গলবার, ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২রা ফাল্গুন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে মৃত্যুদণ্ড

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭

নিউজ ডেস্ক : বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটালে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে বেসামরিক বিমান চলাচল আইন ২০১৭ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে সিভিল এভিয়েশন অর্ডিন্যান্সকে আইনে রূপান্তর করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে এসব কথা জানান।

তিনি জানান, বিমান পরিচালনার ক্ষেত্রে যেসব লাইসেন্স লাগে সেগুলো জাল করলে ৫ বছরের জেল অথবা ৫ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ আইনের ২৪ ধারায় এ কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও আইনের ২৬ ধারায় বলা হয়েছে, বিমানের নেভিগেশনে হস্তক্ষেপ করলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হবে। ২৯ ধারায় বলা হয়েছে, বিমান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।

এ আইনের ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, বিমানে কেউ বিপজ্জনক পণ্য পরিবহন করলে সাত মাসের জেল এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, বাইরের কোনও এয়ারলাইন অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে ৩ থেকে ৭ মাসের জেল এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। বিপদজনক পণ্য বলতে আইনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এবং মানব সম্পদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন পণ্য। এর বাইরেও আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনে বিপজ্জনক পণ্যের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এই আইনে সেই সংজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

সভায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন ২০১৭ এর খসড়াতেও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর এ আইনের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এবার এতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো। এ আইনে ইনস্টিটিউট পরিচালনায় একটি বোর্ড থাকবে। বোর্ডের প্রধান থাকবে একজন ডিজি। বোর্ডে অর্থ মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়সহ ৯ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই ইনস্টিটিউটের কাজ হবে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা, নতুন জাতের ধানের প্রদর্শনী, কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, দেশি-বিদেশি গবেষকদের গবেষণা কাজে সহায়তা করা ও উচ্চ ফলনশীল ধান গবেষণাসহ ১৬টি কাজ থাকবে।

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন আইন ২০১৭ এর খসড়া অনুমোদন করা হযেছে। ১৯৭৩ সালের এই অধ্যাদেশটি মূলত বাংলায় রূপান্তর করা হয়েছে।

মন্ত্রিসভায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ এর খসড়াতেও অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়াও বস্ত্রনীতি ২০১৭ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৯৫ সালের এ নীতিকে আপডেট করে নতুন ১১টি নীতি যুক্ত করা হয়েছে।

এ জাতীয় আরও খবর

  • ইসি নিয়োগ: আলোচনায় তারা ১০ জন
  • তবু আজ ঋতুরাজ বসন্ত
  • ই-ভোটিংয়ে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন
  • সিমকার্ডের মিথ্যা তথ্যে অপারেটরদের জরিমানা হবে
  • পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিনই অসহনীয় যানজট
  • ‘তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’