মঙ্গলবার, ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২রা ফাল্গুন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের প্রস্তুতিতে ঢাকা আসছেন জয়শঙ্কর

AmaderBrahmanbaria.COM
ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর দুই দিনের সফরে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আসছেন।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা আজ সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সাথে বৈঠক করেছেন।আগামী এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী দিল্লি সফরে যেতে পারেন।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে কি-না জানতে চাওয়া হলে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, এ সফরের প্রস্তুতি চলছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর আসছেন কি-না প্রশ্ন করা হলে হাইকমিশনার সরাসরি উত্তর দেয়া থেকে বিরত থেকে বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত সফর বিনিময় হয়। আমাদের দুই রাজধানীর দূরত্ব আকাশপথে মাত্র দুই ঘণ্টা। তাই আমরা অল্প সময়ের নোটিশে একে অপরের দেশে যেতে পারি। সেই বিবেচনায় ভারত থেকে পররাষ্ট্র সচিবসহ অনেকেই আসবেন।
শহীদুল হকের সাথে বৈঠকে জয়শঙ্করের সফর নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি-না জানতে চাওয়া হলে শ্রিংলা বলেন, আমরা অনেক বিষয়েই আলোচনা করেছি। এর মধ্যে চলমান সহযোগিতার ইস্যুগুলো রয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই আমরা ভাল অগ্রগতি করেছি। জ্বালানী ও কানেক্টিভিটি এর অন্যতম।

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে মোট ছয়টি রেলওয়ে সংযোগের মধ্যে চারটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকী দুটি সংযোগ নিয়ে কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যেই সবক’টি রেল সংযোগ চালু হয়ে যাবে। প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে নতুন নতুন ট্রেন ও বাস সার্ভিস শুরু হবে।
গঙ্গা ব্যারেজ নিয়ে যৌথ কারিগরি কার্যকরী গ্রুপ গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, এই গ্রুপ দুই দেশের ওপর ব্যারেজের প্রভাব পর্যালোচনা করবে। এজন্য অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এ ব্যাপারে অগ্রগতি হচ্ছে।
তিস্তার পানি বণ্টন ও গঙ্গা ব্যারেজ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাথে দিল্লির অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া কতটা অগ্রসর হলো – জানতে চাওয়া হলে শ্রিংলা বলেন, ভারত থেকে আসা সর্বশেষ প্রতিনিধি দলে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্য সচিব ও পানি সম্পদ সচিব ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ এই সব ইস্যুতে আমরা সব পক্ষকে নিয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চাই।

২০১৫ সালের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের ফিরতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি যাবেন। এ সফরে সইয়ের জন্য দুই দেশের মধ্যে প্রায় দুই ডজন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খসড়া নিয়ে কাজ চলছে। গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাবিষয়ক এক বৈঠকে চুক্তি ও এমওইউগুলোর খসড়া পর্যালোচনা করা হয়।
এর আগে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে নিশ্চয়তা না পাওয়ায় এবং পরবর্তী সময়ে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন ও পার্লামেন্টে বাজেট অধিবেশনের কারণে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পিত দিল্লি সফর পিছিয়ে যায়। তবে নির্দিষ্ট কোনো ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক আটকে থাকতে পারে না- এমন মনোভাবে সফরটি নিয়ে দুই পক্ষ এগিয়ে যাচ্ছে।

এ জাতীয় আরও খবর