হাঁচির সঙ্গে ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে ধেয়ে আসে সর্দির জীবাণু!
অনলাইন ডেস্ক : আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় অনেকেই সর্দি-কাশিতে ভোগেন। বিশেষ করে, গ্রীষ্মে যথেষ্ট গরম না পড়লে অথবা শীতকালে তাপমান তেমন না নামলে চট করে এই রোগ দেখা দেয়। সর্দি অত্যন্ত ছোঁয়াচে অসুখ, বাড়িতে কেউ সর্দিতে আক্রান্ত হলে পরিবারের অন্য সদস্যরাও একে একে ভুগতে শুরু করেন। এ ধরনের রোগ সম্পর্কে পাঁচটি তথ্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
১) সাধারণত প্রাপ্তবয়স্করা বছরে ৩-৪ বার আর নাবালকরা বছরে ৬-১০ বার সর্দি-কাশিতে ভোগেন।
২) ২০০-র বেশি ভাইরাস থেকে সর্দি হতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাসদের বলা হয় হিউম্যান রাইনোভাইরাসেস (এইচআরভি)। এর মাধ্যমেই ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে যে কোনো রকম সর্দি লাগে। মাত্র একদিনে এই ভাইরাস ১.৬ কোটি সন্তান উৎপাদন করতে সক্ষম।
৩) সংক্রামিত স্থান স্পর্শ করার পরে নাক বা চোখ ছুঁলে সর্দি লাগে। তুলনায় মুখ দিয়ে সর্দির ভাইরাস শরীরে ঢোকে কম। সর্দিতে আক্রান্ত কেউ হাঁচলে বা কাশলে, তার শরীর থেকে বের হওয়া সংক্রামিত তরলের অতি ক্ষুদ্র ফোঁটা হাওয়ায় ভাসে। নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় কোনোভাবে সেই বাতাস নাক দিয়ে টেনে নিলে সর্দি অবধারিত।
৪) প্রতি সেকেন্ডে মানুষের প্রশ্বাস ৪.৫ ফিট অতিক্রম করে। হাঁচলে বাতাসে ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে ছুটে চলে সংক্রামিত তরলের ছোট্ট ফোঁটা। হাঁচি থেকে বের হওয়া সেই ফোঁটাগুলো ৬ ফিট দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
৫) প্রচলিত ধারণায়, ভিটামিন সি সর্দি সারায়। তবে স্মিথসোনিয়ান পত্রিকা জানাচ্ছে, প্রতিদিন ০.২ গ্রাম ভিটামিন সি খেলে সর্দির মেয়াদ দু’-এক দিন অবধি কমে।