গরু পাচারের নতুন পথ জামালপুর সীমান্ত
জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সীমান্ত পথের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে অবাধে আসছে ভারতীয় গরু। দুই দেশের চোরাকারবারী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে এসব গরু পাচার হয়ে এলেও নজর নেই সংশ্লিষ্টদের। তবে বিজিবি কর্তৃপক্ষ বলেছে শুধু গরু নয় সীমান্ত এলাকায় সব পাচার বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তাব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামালপুরের সীমান্তবর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ি জনপথ সোমনাথপাড়া, দীঘলকোনা ও বাবলাকোনা সীমান্ত এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাথরেরচর সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন শত শত ভারতীয় গরু পাচার হয়ে আসছে। নতুন একটি সিন্ডিকেট এসব গরু পাচার করে এলেও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না পাহাড়ি জনপদের মানুষেরা।
পাহাড়ির বাসিন্দাদের অভিযোগ, সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া থাকালেও পাহাড়ের পানি নিষ্কাশনের জন্য রয়েছে বড় আকারে তৈরি রিংকালভার্ট। সুড়ঙ্গপথের মতো তৈরি এসব কালভার্টের ভেতর দিয়েই পাচার হয়ে আসছে ছোট আকারের (বাছুর) ভারতীয় গরু। ওপার থেকে পাচার হয়ে আসা গরুগুলো রাখা হয় চোরাকারবারী ও তাদের স্বজনদের বাড়িতে। এরপর লাউচাপড়া বাজার ও পাশের কর্ণজোড়া বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয় বৈধ গরু বিক্রির রশিদ। পরে সেখান থেকে হাত বদল হয়ে পৌঁছে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে।
এছাড়া দেওয়ানগঞ্জ সীমান্ত এলাকার কাঁটাতারের বেড়া ফাঁকফোকর দিয়েও প্রতিদিন পাচার হয়ে আসছে শত শত ভারতীয় গরু।
স্থানীয় পাহাড়িয়া বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্গম পাহাড়িয়া এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থার বেহাল দশার কারণে এসব এলাকায় বিজিবির টহল না থাকার মতো। আর এই সুযোগে স্থানীয় পুলিশকে ম্যানেজ করে প্রায় দুই মাস আগে আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ওয়াল মিয়া, সোনা মিয়া, আব্দুল আওয়াল, আমিজল হক, ফিরোজ মিয়া, সাইদ, ইয়ানুস আলী, গোবরা, আব্দুল আওয়াল, মিষ্টার রানা, জুয়েল, সাইফুল ও নর ইসলামকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাঙিয়ে গরুপ্রতি হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে নিরাপদে পাচারের সহযোগিতা করে আসছে ওই সিন্ডেকেটের সদস্যরা।
এবিষয়ে বিজিবি জামালপুর ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় শুধু গরু পাচার নয়, সমস্ত পাচার বন্ধে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
পুলিশকে ম্যানেজ করে ভারতীয় গরু পাচারের বিষয়টি অস্বীকার করে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন ঢাকাটাইমসকে জানান, সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবিই কাজ করে। এখানে পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই।