বৃহস্পতিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ইং ২০শে মাঘ, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতার জন্য স্কুলের কমিঠিতে যুবলীগ নেতার জোর সুপারিশ!

AmaderBrahmanbaria.COM
জানুয়ারি ২৯, ২০১৭

নিজস্ব প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিএনপি নেতাকে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি করার জন্য স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার জোর  সুপারিশ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ খোদ বিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কসবা উপজেলার মেহারি ইউনিয়নের খেওড়া আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচলানা পরিষদের সভাপতি করার জন্য কমিটির সদস্য ও মেহারি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আল হেলাল ব্রাহ্মণবাড়িয়-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমানের আস্থাভাজন আবু বক্কর সিদ্দিকের নাম সুপারিশ করেছেন। বিএনপি নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অলি মিয়ার ভাতিজা।

আ.লীগে আভ্যন্তরীন কোন্দল এবং বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ঘোলাটে করার জন্যই পরিচালনা পরিষদের সভাপতি পদে আবু বক্কর সিদ্দিকের নাম সুপারিশ করা হয়েছে অভিযোগ করেছেন অনেকে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। আল হেলাল সেই পরিবেশ ঘোলাটে করার জন্য আবু বক্কর সিদ্দিককে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি করতে চাইছেন। যুবলীগ নেতা হেলাল এর আগেও বিদ্যালয়ের পরিচলানা পরিষদের সভা চলাকালে বর্তমান সভাপতি নারায়ণ সাহা মণির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। এই বিষয়টি এ প্রতিনিধি কাছে নারায়ণ সাহা মণির স্বীকার করেছেন। এ দিকে, আল হেলাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হকের সহকারী একান্ত  সচিব এড.রাশেদুল কায়সার ভুইয়া জীবন আস্থাভাজন হওয়ায় তার অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পান না ও তাকে পরোক্ষভাবে মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে আইন মন্ত্রী সহকারী একান্ত  সচিব এড.রাশেদুল কায়সার ভুইয়া জীবন  একাধিকবার চেষ্টা করলেও মুঠোফোন রিসিভ করেন নি তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেহারি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আল হেলাল বলেন আবু বক্কর সিদ্দিকের চাচা বিএনপি করতে পারে। সে চট্্রগ্রামে ব্যবসা করে।
উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মীয় গুরু শ্রী শ্রী মা আনন্দময়ীর স্মৃতি ধরে রাখতে তার শিষ্য ব্রহ্মচারী শ্রী মানিক মহারাজ ১৯৭৫ সালে খেওড়া গ্রামে আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য মানুষ ছিলেন মা আনন্দময়ীর ভক্ত। গত ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণও খেওড়ায় এসে মা আনন্দময়ীর আশ্রম ও আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।