বাগেরহাটে অর্ধশতাধিক পাকা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য জন দুর্ভোগ চরমে
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির : বাগেরহাটের ফকিরহাটে অর্ধশতাধিক গ্রাম্য পাকা ও সেমিপাকা রাস্তা ভেঙ্গে চুরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘকাল ধরে স্থানীয় জনসাধারন রাস্তা গুলি পূনঃসংস্কার বা মেরামতের করার জোর দাবী জানালেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উদাসিনতা আর অবজ্ঞার কারণে তা মেরামত করা সম্ভাব হচ্ছে না। ফলে হাজার হাজার পথচারী ও যানবাহন চালকদের পোহাতে হচ্ছে সিমাহীন দুর্ভোগ। জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭২টি ওয়ার্ডসহ প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের অর্ধশতাধিক পাকা ও সেমিপাকা রাস্তা ভেঙ্গে চুরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এসমস্ত রাস্তা ভেঙ্গেচুরে এমনই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে ভ্যান রিক্সা তো দুরের কথা পায়ে হেটে চলাও দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। কোন কোন রাস্তার কোন কোন স্থানে এমনই ভাঙ্গাচুরা যে হুচোট খেয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হওয়া লাগছে অনেক পথচারিদের। উপজেলা প্রশাসন-কে বারবার বিষয়টি বলা হলেও তারা তাতে কোন কর্ণপাত করছে না। ফলে রাস্তা গুলি এখন জনগণের বিষফোড়ায় পরিনত হয়েছে।
সরেজমিনে অনুসন্ধ্যান কালে দেখা গেছে, উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের ফলতিতা বটতলা ভায়া কাথলী নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হয়ে দোহা জারী ও শন্তিগঞ্জ মোড় পযন্ত প্রায় ৮কিলোমিটার সড়ক, ফলতিতা ভায়া ডোঙ্গারগেট পযন্ত ৫কিলোমিটার সড়ক, পিলজংগ ইউনিয়নের সাধুর বটতলা ভায়া গাবখালী ১কিলোমিটার সড়ক, কানারপুকুর ভায়া পাগলা দাশ পাড়া ২কিলোমিটার সড়ক, কলমের দোকান ভায়া পাগলা দাশ পাড়া ১কিলোমিটার সড়ক, কলমের দোকান ভায়া পাগলা দাশ পাড়া ১কিলোমিটার সড়ক, বালিয়াডাঙ্গা ভায়া বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাঃ বর্নি আমীন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পযন্ত ২কিলোমিটার সড়ক, লখপুর ইউনিয়নের ভুট্টোর দোকান ভায়া খাজুরা জাহাজঘাটা পর্যন্ত ২কিলোমিটার সড়ক, লখপুর বিএল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সড়ক, লখপুর বাসস্ট্যান্ড ভায়া জলছত্র বটতলা পযন্ত ১কিলোমিটার সড়ক, জলছত্র বটতলা ভায়া দামবাড়ী পর্যন্ত ৩কিলোমিটার সড়ক, সাতসইয়া বটতলা ভায়া তিন রাস্তার মোড় ভায়া সাতসইয়া পযন্ত ৩কিলোমিটার সড়ক, বাহিরদিয়া ইউনিয়নের মানসা বাজার ভায়া ফকিরহাট বাজার পর্যন্ত ৩কিলোমিটার সড়ক ও শুভদিয়া পুলিশ ফাড়ি ভায়া শুভদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৫কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সুত্র গুলি বলছে, খাল বিল ও পুকুর পাড়ের উপর দিয়ে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে গ্রাম্য সড়ক গুলি মেরামত বা পূনঃসংস্কার করলে তা কয়েকদিন যেতে না যেতেই সড়ক গুলি ভেঙ্গে চুরে একাকার হয়ে যাচ্ছে। সড়ক গুলির পার্শ্বে প্যারাসাইডওয়াল না দেওয়ার কারনে এটির স্থায়ীত্ব হারাচ্ছে। বছরের পর বছর রাস্তা গুলি ভেঙ্গেচুরে চলাচলের অযোগ্য হলেও পূনঃ সংস্কার বা মেরামত না করার পথচারী ও যানবাহন চালকরা পড়েছেন মহাবিপাকে। কবে নাগাদ এই অর্ধশতাধিক রাস্তা গুলি মেরামত করা হবে তা সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারছেনা। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মোহম্মদ ফারুক এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। আমার জানামতে বেশ কয়েকটি রাস্তা পূনঃসংস্কার বা মেরামত করার জন্য উদ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে একাধিক রিপোট প্রদান করেছি। তাছাড়া বেশ কয়েকটি রাস্তার টেন্ডার করা হয়েছে। অচিরেই ভাঙ্গাচুরা ও চলাচলের অযোগ্য রাস্তা গুলি পূনঃ সংস্কার করা হবে।