অপহৃত বিমানের যাত্রীরা মুক্ত : ছিনতাইকারীদের আত্মসমর্পণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছিনতাইয়ের পর মাল্টায় অবতরণে বাধ্য করা লিবীয় বিমানের সব যাত্রীকে ছেড়ে দিয়ে ছিনতাইকারীরা আত্মসমর্পণ করেছে বলে জানিয়েছেন মাল্টার প্রধানমন্ত্রী।
এক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণের পর ছিনতাইকারীদের নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
লিবিয়ার আফ্রিকিয়া এয়ারওয়েজের অভ্যন্তরীণ রুটের ওই উড়োজাহাজ স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১০ মিনিটে সাবহা থেকে ১১৮ জন আরোহী নিয়ে ত্রিপোলির পথে রওনা হওয়ার পর মাঝপথে দিক বদল করে।
গ্রেনেড ফাটানোর হুমকি দিয়ে ছিনতাইকারীরা এয়ারবাস এ৩২০ উড়োজাহাজটিকে মাল্টায় নামতে বাধ্য করে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানায় বিবিসি।
ঠিক কতজন ছিনতাইকারী এ ঘটনায় জড়িত তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট না হলেও মাল্টার প্রধানমন্ত্রী এক টুইটে সম্ভাব্য ছিনতাইকারীর সংখ্যা দুইজন বলে জানিয়েছিলেন।
অধিকাংশ আরোহীকে মুক্তি দেওয়ার পর ছিনতাইকারীদের একজনকে উড়োজাহাজের দরজায় হাজির হয়ে লিবিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির সবুজ পতাকা ওগাতে দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসা ছবিতে।
মাল্টা টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ছিনতাইকারীরা গাদ্দাফির সমর্থক আল ফাতাগ আল গাদিদা নামের একটি সংগঠনের সদস্য। তারা যে পতাকা দেখিয়েছে, সেটা গাদ্দাফির সময়ে লিবিয়ার জাতীয় পতাকা ছিল।
লিবিয়ার একটি টেলিভিশন স্টেশন এক ছিনতাইকারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে জানিয়ে বিবিসি লিখেছে, গাদ্দাফিপন্থি একটি নতুন দলের প্রচার চালানোই ছিল এই ছিনতাইকাণ্ডের উদ্দেশ্য।
এর আগে লিবিয়ার সাবহার মেয়র কর্নেল হামেদ আল-খায়ালির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছিল, ছিনতাইকারীরা মাল্টায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন বলে তারা প্রাথমিক তথ্য পেয়েছেন।
ততক্ষণে মাল্টার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উড়োজাহাজটি ঘিরে ফেলে। ওই বিমানবন্দরে থাকা রয়টার্সের একজন আলোকচিত্রী বিমানটির ঘিরে থাকা সেনা সদস্যদের ছবিও তোলেন।
এরপর মাল্টা সরকারের পক্ষ থেকে ছিনতাইকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনা শুরু হয় এবং ধাপে ধাপে যাত্রী ও ক্রু দের মুক্তি দেওয়া হয়। পরে ছিনতাইকারীদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সঙ্কটের অবসান ঘটে।
মাল্টার প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন বলে সরকারের মুখপাত্র এক টুইটে জানিয়েছেন।